সালটা ২০২০ হলেও প্রাচ্যের অনেক তৃতীয় বিশ্বের দেশেই পরিবারে কন্যা সন্তান জন্মালে শাঁখ বাজে না, কয়েক সন্ধ্যায় বাতি জ্বলে না। সদ্য বাবাদের পিতৃত্বের আনন্দ মুছে যায়, কন্যা সন্তানের জন্মলগ্ন থেকেই তাঁরা হয়ে ওঠেন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা। ভারতের পিছিয়ে পড়া বেশ কিছু গ্রামেও ছবিটা খুব কিছু আলাদা না। তবে ইউরোপে ঘটছে উল্টো ঘটনা। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কন্যা সন্তানের বাবার আয়ু তুলনামূলক বেশি হয়। তারা অন্য পুরুষদের চেয়ে বেশিদিন বাঁচেন। অবশ্য লিঙ্গ নির্বিশেষে সন্তান জন্মদান মহিলাদের আয়ু কমিয়ে দেয় এ ব্যাপারে প্রায় সব গবেষক একমত।
পোল্যান্ডের জাগিলোনিয়ান ইউনির্ভাসিটির সম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুত্র সন্তান তাদের পিতার আয়ুর ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে কন্যা সন্তানের সংখ্যার সঙ্গে পিতার লম্বা আয়ুর সমানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন, লকডাউন উঠলেও সন্তানদের স্কুলে পাঠানোয় আপত্তি অভিভাবকদের, বলছে সমীক্ষা
গবেষণার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুরুষের কন্যা সন্তানের সংখ্যা যত বেশি, আয়ুও ততই বেশি। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, প্রতিটি কন্যা সন্তানের জন্য বাবা ৭৪ সপ্তাহেরও বেশি অতিরিক্ত আয়ু পান।
২ হাজার ১৪৭ জন মা এবং ২ হাজার ১৬৩ জন বাবার ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। একটি সন্তান জন্মের পর বাবার মানসিক ও শরীরিক অবস্থা কেমন থাকে সেটি পর্যবেক্ষণ করাই ছিল এ গবেষণার মূল লক্ষ্য।
এদিকে আমেরিকান জার্নাল অব হিউম্যান বায়োলজিতে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, পুত্র বা কন্যা সন্তানের জন্ম মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং আয়ু কমায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন