Gota Seddho In Saraswati Puja: সরস্বতী পুজোর পরেরদিন হয় শীতল ষষ্ঠী৷ বাড়ির মেয়েরা শীতল ষষ্ঠী ব্রত পালন করেন৷ ওইদিন দিনভর বাড়িতে বন্ধ থাকে রান্নাবান্না৷ আগের রাতে রান্না করা গোটা সেদ্ধ খান খাওয়া হয়৷ কিন্তু কেন যুগের পর যুগ ধরে সরস্বতী পুজোর পরেরদিন পালন করা হয় শীতল ষষ্ঠী? কেনই বা গোটা সেদ্ধ খাওয়া হয়?
সরস্বতী পুজোর দিন সকালে বাজারের ব্যাগ হাতে বেরিয়ে পড়েন গৃহস্থরা৷ চড়া দাম হলেও বাজার থেকে বাছাই করে গোটা সেদ্ধর সামগ্রী হিসাবে শিষ পালং, গোটা মুগ, গোটা বেগুন, গোটা শিম, গোটা কড়াইশুটি, টোপা কুল, সজনে ফুল কিনে আনেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন- Saraswati Puja 2024: বিদ্যার দেবী সরস্বতীর জন্ম কীভাবে? পুরাণ মতে রয়েছে একাধিক কাহিনি
পুজো মিটে গেলে বিকেলের দিকে পরিষ্কার হাঁড়িতে শুরু হয় গোটা রান্না৷ কোনও সবজি না কেটেই হাঁড়িতে দিতে হয়, তাই তা গোটা সেদ্ধ নামেই পরিচিত৷ হাড়িতে দেওয়া গোটা সব সবজিসেদ্ধ হয়ে গেলেই রান্না শেষ৷ তৈরি গোটা সেদ্ধ। কেউ কেউ অবার গোটা রান্নায় মশলা দিয়ে থাকেন৷ আবার কেউ কেউ মশলা ছাড়াই গোটা রান্না করেন৷
সরস্বতী পুজোর পরেরদিন সকালে ষষ্ঠী তিথিতে হয় ষষ্ঠী পুজো। তারপর ফুল, প্রসাদ দিয়ে বাড়ির শীল, নোড়ার পুজো হয়। পুজোর সময় দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয় শীল-নোড়ার গায়ে। পুজো শেষে সেই দই-ই আগের দিনের রান্না করা খাবারে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এদিন কিন্তু সকাল থেকে বাড়িতে আগুন জ্বালানো হয় না। অনেকটা অরন্ধনের মতো এই পার্বণ নিয়ে সরস্বতী পুজোর পরদিন বেশ একটা অন্য আবহ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন- Saraswati Puja: বাজারে দেদার বিকোচ্ছে, কিন্তু কেন সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নেই?
যাঁরা সরস্বতী পুজোর পরের দিন শীতল ষষ্ঠী ব্রত পালন করেন, তাঁদের বাড়িতে উনুন জ্বালানোর নিয়ম নেই। লৌকিক আচার অনুসারে, এদিন শিল নোড়াকে বিশ্রাম দিতে হয় এবং পুজো করা হয়। তাই আগের দিনই রান্না করা হয় গোটা সেদ্ধ। মূলত ব্রত ভাঙা হয় গোটা সেদ্ধ খেয়ে।
শীত বিদায় নিচ্ছে। আসছে বসন্ত। এই সময়ে শরীরের পক্ষেও গোটা সেদ্ধ ভাল। বিশ্বাস করা হয় যে, গোটা সেদ্ধ খেলে জীবণু সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। শীতল ষষ্ঠীর দিন ঠাণ্ডা খেতে হয়। ষষ্ঠীর দিন ছয় রকমের সবজি দিয়ে রান্না হয় এই বিশেষ পদ।