Delhi Durga Puja 2018: দিল্লির মহাষষ্ঠীর সকালগুলোর একটা মজা আছে। অথবা সেই অর্থে কষ্ট আছে। যদি পশ্চিমবঙ্গ থেকে হঠাৎ এই পাথুরিয়া দেশে এসে হাজির হন, তাহলে ষষ্ঠীর দিন অফিস বা স্কুলে যাবার এক বিরল অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। যখন পুজোর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যুক্ত ছিলাম অথবা গত কয়েকবছর যখন পরিবেশ বান্ধব পুজো প্রতিযোগিতার সঙ্গে ছিলাম তখন ষষ্ঠী ছুটিতেই কাটছিল ব্যস্ততার মধ্যে।
কিন্তু এবছরটা অন্যরকম। একে সরকারিভাবে কোন পুজোর সঙ্গে সেভাবে যুক্ত নই। তার উপর সরকারি কামকাজে এবার একটু চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই ছুটি নট। কিন্তু ছেড়ে থাকব বললেই কি আর ছাড়া যায়? ঠিক কিছু না কিছু জুটে যায়।
আরও পড়ুন, Delhi Durga Puja 2018: দিল্লিওয়ালা দুর্গাপুজো- পঞ্চমী
প্রান্তিক ইন্দিরাপুরমের প্রথম বছরের পুজোতে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসাবে গেছিলাম। তা সেও প্রায় দশ বছর হয়ে গেল। ইন্দিরাপুরমের জ্ঞানখণ্ডের গৌর গ্রিন এভিনিউয়ের চাতালে হয়েছিল প্রথমবারের পুজো। আসলে ইন্দিরাপুরমে তখন পুজো বলতে শুধুমাত্র শিপ্রা সানসিটির পুজোটাই। যেখানে ইতিমধ্যেই স্যাচুরেশন পয়েন্ট এসে যাওয়ায় বন্ধু স্থানীয় অধিকাংশ উঠতি উদ্দীপ্ত যুবক নতুন কিছুর চিন্তা ভাবনা নিয়ে প্রথমে প্রান্তিক, তারপর নবরূপা বা আপনজনের পুজো তৈরি করে।
দিল্লির কয়েকটি পুজোর ষষ্ঠীর মণ্ডপ (ফোটো- লেখক)
সেখান থেকে বেরিয়ে আবার অফিসে ফেরার আগেই একবার আপনজন আর নবরূপার ছোঁয়া। আর সঙ্গে ২৪ নং জাতীয় সড়কের অপর পারেই সেক্টর বাষট্টির পুজো আর সপ্তর্ষি সঙ্ঘ। সপ্তর্ষি সঙ্ঘ গত বছর দুই ধরে এই পরিবেশ বান্ধব পুজোর পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায়। কিন্তু বাষট্টি সেক্টরের দেখলাম ডাকের সাজের সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিক বিবর্জনের সংকল্প।