ভক্তদের কাছে দেবী জীবন্ত কালী। তিনি আছেন মানেই, সব আছে। সব নিরাপত্তা আছে। ভয় এলে তা দূরে চলে যেতে বাধ্য। এমনটাই বিশ্বাস দুর্গাপুরের কল্যাণী কালী মন্দিরের ভক্তদের। কারণ, তাঁদের বিশ্বাস দেবী কল্যাণী আজও জীবন্ত। তিনি কালীরূপে এই মন্দিরে বিরাজিত।
কেন ভক্তদের এমন ধারণা? এর পিছনে অবশ্যই কারণ আছে। সেই কারণ হল ভক্তদের প্রত্যক্ষ উপলব্ধি। তেমনই এক প্রত্যক্ষ উদাহরণ হল, এই মন্দিরে এক চোর চুরি করেছিল। কিন্তু, প্রণামীর অর্থ সে আর নিয়ে যেতে পারেনি। পথেই আচমকা সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। চোর হলেও সে বুদ্ধি হারায়নি। মন্দিরে ফিরে এসে দেবী কল্যাণী কালীকে প্রণামীর অর্থ ফিরিয়ে দেয়। ক্ষমতা চেয়ে নেয় দেবীর কাছে। অলৌকিক-কাণ্ডের মতই, এরপরই মুহূর্তে সেরে যায় ওই চোরের জ্বর। সে নিশ্চিন্তে ফিরে যায়।
এত গেল একটা ঘটনা। এরকম অজস্র কাহিনি রয়েছে দেবী জীবন্ত কালীকে ঘিরে। তার মধ্যে অন্যতম কাহিনি হল, এক মহিলা কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। সেই সময় তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেবীর কাছে ওই মহিলার জীবনভিক্ষা করে। সেই আবেদন যেন কান পেতে শুনেছিলেন দেবী। আচমকা দেখা যায়, সেরে গিয়েছেন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ওই মহিলা। শুধু সেরে যাওয়াই নয়। পরবর্তীতে তিনি আরও ২০ বছর জীবিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- নাচিন্দার জাগ্রত শীতলা মন্দির, যেখানে দেবীর অলৌকিক মাহাত্ম্যের সাক্ষী ভক্তদের অনেকেই
ভক্তদের অনেকের আবার বক্তব্য, দেবী জীবন্ত কালীর স্ক্রিনশট তিনি মোবাইলে বন্দি করেছিলেন। সেই সময় তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপরও দেবীর ছবি তিনি প্রণাম করার জন্য মোবাইলে রেখে দিয়েছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেবীর ছবি যখন প্রণাম করেন, বুঝতে পারেন তাঁর জ্বর আচমকা উধাও হয়ে গিয়েছে।
চরম তাপমাত্রা থেকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় চলে এসেছে শরীর। আবার অনেক ভক্তর মতে, তাঁরা অনুভব করতে পারেন যে দেবী তাঁদের আশপাশেই আছেন। আশপাশেই ঘোরাঘুরি করছেন। এভাবেই এই মন্দিরের দেবী কালী যেন বুঝিয়ে দেন, তিনি জড় বিগ্রহ নন। তিনি জীবন্ত।