Advertisment

শাক্তপীঠে পরিপূর্ণ বাংলা, যেখানে দেবী মহামায়াই পূজিতা হন কালীরূপে

বাংলাতেই বহু সাধক রয়েছেন, যাঁদের কাছে তিনি মায়ের রূপে ধরা দিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kali

দেবী কালী। দেবী কালীকে মহাদেবী হিসেবেই পুজো করেন ভক্তরা। দেবী কালী আসলে মহামায়ার অংশ। সেই কারণে তিনি মহাদেবী। কেউ কেউ বলেন তিনি শ্মশানচারিণী। তবে ভক্তদের অনেকের কাছে তিনি যেন ঘরের লক্ষ্মীরূপিণী। বিভিন্ন মন্দিরে লক্ষ্মীপুজোর দিনও কালীপুজোর চল রয়েছে। পণ্ডিতরা বলেন, দেবী বঙ্গদেশে কালিকা হিসেবে পূজিতা হন। পশ্চিমবঙ্গের অলিগলিতে বহু কালীমন্দির রয়েছে। যেখানে শনিদেবের সঙ্গে দেবী কালীর মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়।

Advertisment

যাঁরা পুজোর নিয়মকানুন নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চলেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা বলে, কালী ক্রোধের রূপ। তাঁর পুজো নিষ্ঠাভরে না-হলে তিনি ক্ষুব্ধ হন। তাতে বহু ক্ষতিসাধন হয় বলেই ভক্তদের বিশ্বাস। আবার, এই বাংলাতেই বহু সাধক রয়েছেন, যাঁদের কাছে তিনি মায়ের রূপে ধরা দিয়েছেন। এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। বঙ্গদেশে সতীর বিভিন্ন অংশ পড়েছে বলেই দাবি ভক্তদের। সেই অনুযায়ী, সেই সব অঞ্চলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এক একটি কালীমন্দির।

তন্ত্রোজ্ঞদের মতে, দেবী কালী আসলে দশমহাবিদ্যার এক বিদ্যা। তাঁর সাধনা করলেই সহজেই ইষ্ট সিদ্ধি হয়। তন্ত্রমতে, কালীরও বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত কালীমন্দিরগুলোর মধ্যে দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির, কালীঘাটের কালী মন্দির, কঙ্কালীতলার কালী মন্দির-সহ বেশ কয়েকটি কালী মন্দির বিখ্যাত। বিভিন্ন পুজো এবং অনুষ্ঠানে এই সব মন্দিরগুলোয় ভক্তদের ঢল নামে।

তবে, পশ্চিমবঙ্গে দেবী কালীর যে রূপ, তার সঙ্গে উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতের কালী মূর্তির রূপের পার্থক্য রয়েছে। কথিত আছে, প্রাচীনকালে বাংলার ডাকাতরা কালী ঠাকুরের পুজো না-করে ডাকাতি করতে বের হতেন না। তাঁদের সেই পুজো আজও বাংলার বহু জায়গায় হয়ে চলেছে। সেই সব কালীপুজো ডাকাতকালী হিসেবে বিখ্যাত।

আরও পড়ুন- কীভাবে তুষ্ট করবেন বজরংবলীকে, জানেন কি কোথায় আছে হনুমানজির জাগ্রত মন্দির?

তবে, ভিনরাজ্যের পণ্ডিতদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র সতীপীঠ রয়েছে কালীঘাটে। সেখানেই দেবীর শরীরের অংশ পড়েছিল। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী কালী অত্যন্ত জাগ্রত। তিনি প্রাণভরে ডাকলে ভক্তদের মনোকামনা পূরণ করেন। বিপদে-আপদে তাঁদের রক্ষা করেন দু'হাত বাড়িয়ে।

Kali Puja Kalighat Kali Temple
Advertisment