আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত জীবনযাত্রা ডায়াবেটিক রোগীদের একেবারেই নয়। বরং বলা উচিত, দৈহিক অনেক রকম সমস্যা একজন ডায়াবেটিক রোগী প্রতিনিয়ত ফেস করেন। যেমন, গলা শুকিয়ে যাওয়া হোক, কিংবা বহুমূত্র অথবা হাত পায়ে অ্যালার্জি এগুলি বেশ স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, এই ধরনের রোগীরা বেশ কিছু নিত্য নৈমিত্তিক নিয়ম মেনে একেবারেই চলেন না।
Advertisment
চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ, নিতীকা কোহলি বলছেন - শুধু অত্যধিক মাত্রায় চিনি জাতীয় খাবার খেলেই যে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়তে পারে এমন কিন্তু নয়। সবথেকে বেশি সমস্যা দেখা যায়, জীবন ভিত্তিক ক্ষেত্রে! অর্থাৎ সামাজিক জীবনে মানুষ আজকাল একেবারেই অন্যধরনের হয়ে গেছেন এবং সেই থেকেই যত সমস্যার উদ্ঘাটন। যেহেতু ভারতের বুকে মানুষজন এক জায়গায় বসে থেকেই কাজ করতে শিখে গিয়েছেন সেখানে ডায়াবেটিক রোগীদের পক্ষে ডিজিটালাইজেশনের মাত্রা একেবারেই ঠিক নয়।
ডায়াবেটিস আসলেই একটি মেটাবলিসটিক রোগ এর থেকে দেহের সর্ব অঙ্গ নাজেহাল হতে শুরু করে। ব্লাড গ্লুকোজ একবার বেড়ে গেলে বড্ড বিপদ! কারণ, এর থেকে হার্টের সমস্যা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। তাই যেই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন, তার মধ্যে ;
গরম জলে মধু মেশানো জল একদম পান করবেন না। মধু আপনাদের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। তাই এটি বাদ।
দিনের বেলা ঘুমানোর অভ্যাস এক্কেবারে ত্যাগ করুন। এর থেকে শরীরের কার্ব আরও বাড়তে পারে।
শুধুমাত্র যখন খিদে পাবে তখনই খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে খাওয়ার ইচ্ছে সঠিক মাত্রায় থাকে। অত্যধিক বেশি মাত্রায় খাবেন না কিংবা দিনের বেলায় খুব অ্যাক্টিভ থাকুন।
রাতের বেলা ঘুমানোর মাঝে ওঠার অভ্যাস একদম করবেন না। এতে বিপত্তি বাড়ে কারণ শরীরের ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম হঠাৎ করে জেগে উঠলে মুশকিল।
চিনি খাচ্ছেন না বলে সেই জায়গায় জাগেরী অথবা মধু খাওয়াই অভ্যাস করবেন না। চিকিৎসকের থেকে জেনে নিয়ে তারপরেই এটি করুন।
দারচিনি, এলাচ, আগর এবং চন্দন দিয়ে নির্মিত একটি লেপ গায়ে মালিশ করে ধুয়ে নিন। এটি বেশ ভাল কাজ করতে পারে।