ডায়াবেটিক এমন একটি রোগ, যার কারণে শরীরে অন্যান্য রোগের সূত্রপাত ঘটে, এবং সেগুলি নির্দ্বিধায় মারাত্মক। সহজে তার থেকে রেহাই মেলে না, বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীরা হার্ট এবং কিডনি এই দুই অঙ্গের সমস্যায় বেশি ভোগেন, কারণ এগুলি পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত। ডায়াবেটিক নেফ্র প্যাথি বেশ সাধারণ একটি রোগ টাইপ টু এবং ,এক - উভয়ের ক্ষেত্রেই।
Advertisment
কেন হয় এই রোগ?
যারা অনেকদিন ধরে ডায়াবেটিক রোগী, তাদের নিজেদেরকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হয়। কারণ এটি যদি সঠিক মাত্রায় আয়ত্বে না আসে তবে, রক্ত নালিগুলিতে বাঁধার সৃষ্টি করে এবং সেই থেকেই কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর সঙ্গেই হাই ব্লাড প্রেসারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এই রোগের কারণে প্রথম এবং একক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি। একবার যদি দুটি রোগ একত্রে শরীরে ঢুকে যায়, তবে খুব মুশকিল কারণ ডায়াবেটিকের প্রভাবে কিডনির সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অন্যান্য রোগ চাগাড় দেয়। সেই থেকে হার্ট এবং চোখের সমস্যা খুব স্বাভাবিক বিষয়।
কাদের মধ্যে এই রোগের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি?
মানবদেহে ডায়াবেটিস শুধু নয়, সঙ্গেই অন্যান্য রোগ থাকা খুব স্বাভাবিক, কিন্তু ডায়াবেটিক নেফ্রপ্যথি যাদের মধ্যে সবথেকে বেশি দেখতে পাওয়া যায় :
ব্লাড সুগার যাদের শরীরে প্রচণ্ড বেশি অথবা হাইপার গ্লাইসেমিয়া রয়েছে।
উচ্চ এবং নিয়ন্ত্রণ বিহীন রক্ত চাপ যাদের মধ্যে রয়েছে।
যারা প্রচন্ড ধূমপান করেন, তাদের মধ্যে।
যারা হাই কোলেস্টেরলের রোগী।
স্থূলতা, কিংবা ওজন একটু বেশি যাদের।
ডায়াবেটিক নেফ্রপ্যাথি কীভাবে শরীরকে অসুস্থ করতে পারে?
এটির কারণে শরীরে দূষিত রক্ত পরিশ্রুত হয়না সেই থেকেই হতে পারে সমস্যা! রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায় এর কারণে।
এটির কারণে কার্ডিও ভাসকুলার জাতীয় রোগের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলেই স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। এমনিও কিডনির সঙ্গে হার্টের যোগ প্রবল, তাই অসতর্ক হলেই মুশকিল।
কিডনির একেবারে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। অর্থাৎ এমন কিছু যার কারণে মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।
কিডনি সঠিক ভাবে কাজ না করলে ফ্লুইড রেটেনসন হোক অথবা রক্তে জলীয় ভাব বেড়ে যায়। এর থেকে হাত পা ফুলে যাওয়া, ফুসফুস ফুলে যাওয়া, এতে ধীরে ধীরে জল জমা হওয়ার মত সমস্যা দেখা যায়।