শেভিং অথবা ওয়াক্সিং এই শব্দ দুটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। বাংলায় যাকে ক্ষৌরকর্ম বলা হয়, আসলে দেহের অবাঞ্ছিত পশম তুলে ফেলার নামই হল শেভিং। তবে একে নিয়ে অনেক গুজব রয়েছে বটে, কেউ বলেন বিশেষ করে নারীদেহে শেভিং একেবারেই চলে না। এতে চামড়া যেমন খারাপ হয় তেমনি স্কিনের নিচে লুকিয়ে থাকা কোষগুলি শুকিয়ে যেতে থাকে। তবে এর সত্যতা কতটা? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক আঁচল পান্থ।
Advertisment
তিনি বলছেন, এই সম্পর্কিত কিছু তথ্য যেগুলি সাধারণ মানুষকে ভুল ধারণা দিয়ে থাকে সেগুলি সম্পর্কে জানা দরকার। নয়তো হরেক রকম বিভ্রান্তি! লোকমুখে শুনে মানুষ এসব বিশ্বাস করেন, কিন্তু এর সত্যি সম্পর্কে জানতে চান না, চারটি এমন মিথ যেগুলি ভাঙ্গা অবশ্যই প্রয়োজন।
পশম শেভ করার পর, আরও বেশি বাড়তে থাকে? শেভ করার জন্য এটি হয় না। আসল অর্থ এটি ওপর থেকে শুধু চেঁচে ফেলা হয়, ভেতর থেকে উপড়ে ফেলা হয়না। সেই কারণেই কাটার পর বাড়তে থাকে এবং যেহেতু এটি গোঁড়া থেকে মোটা থাকে তাই পুনরায় সেই ভাবেই বাড়তে থাকে।
শুকনো ভাবে শেভ করলে সমস্যা হয় না? একেবারেই হয়। শেভ করলে স্কিনের আদ্রতা হারিয়ে যায়। তাই সাবান দিয়ে শেভ করা উচিত নয়, বরং ফোম কিংবা সেই জাতীয় ক্রিম দিয়ে এটি করা উচিত, তাতে হালকা আদ্রতা বজায় থাকবে।
শেভিং ত্বকের জন্য ভাল নয়? ভুল ধারণা। বর্তমানে পশম চাঁচার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেজার বেরিয়ে গেছে। এছাড়াও শেভ করলে পরে স্ক্রাবার দিয়ে চামড়া পরিষ্কার করা, হালকা সুদিং বাম লাগানো বেশ কাজে দিতে পারে।
উল্টো দিক থেকে শেভ করা একেবারেই উচিত নয়। অর্থাৎ আপনার হাত সোজা রেখে রেজারের মাথা যেন হাতের পাতার দিকে থাকে, সেটি নজরে রাখবেন। তাহলে স্কিনে আঁচড়ও লাগবে না এবং কেটেও যাবে না।
সুতরাং এই বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন তাহলেই হবে! বাকি আর কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না। এবং যতটা পারবেন গরম জল কম লাগাবেন, তাহলে আদ্রতা বজায় থাকবে।