Advertisment

অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রনের লক্ষণ কী আগে দেখা যায়? জেনে নিন

উপসর্গ না বুঝেই ভুগছেন অনেকে- বাড়ছে ওমিক্রনের আক্রান্ত

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
India’s Omicron tally reaches 200, most cases in Delhi, Maharashtra

প্রতীকী ছবি

Omicron And Symptoms: করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে দেশ এবং বিদেশের নানান প্রদেশে। সেই নিয়ে WHO থেকে সাধারণ মানুষ এবং বৈজ্ঞানিক চিকিৎসকসহ সকলেই বেশ চিন্তিত। প্রতিদিন নতুন করেই কিছু না কিছু তথ্য জানা যাচ্ছে এর প্রসঙ্গে। ঠিক তেমনি মানুষ এখনও এর লক্ষণ কিংবা সিম্পটম সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারছেন না। আদৌ কোন উপসর্গ দেখে মানুষ এর সংক্রমণ বুঝতে পারবেন সেই নিয়ে দোলাচলে রয়েছেন সকলেই। 

Advertisment

ভারতের বুকে সংক্রমনের সংখ্যা ৮৭, প্রতিদিন একটি একটু করে ক্রমশই বাড়ছে। এবং বিদেশের বুকে এটি এখনই প্রায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যদিও এই নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কায় সেসব দেশের স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং চিকিৎসকরা। তবে বারবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এটিই জানানো হচ্ছে, সংক্রমণ আয়ত্বে না আনা হলে পরবর্তীতে এটিকে আটকানো সম্ভব নয়। এমন অনেক প্রশ্নই মানুষের মনে ঘুরছে। 

কোভিড ভাইরাসের লক্ষণ আসলে কেমন স্থায়ী হয়? 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বেশিরভাগ সময়েই আক্রান্ত হওয়ার ৫/৬ দিনের মধ্যেই উপসর্গ দেখা যায়। এবং পরবর্তীতে ১২/১৪ দিন এটি স্থায়ী হয়। জানা যায়, ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী দিনের এদিক ওদিক হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বেশ কিছুদিন চলে গেলে, ইনফেকশন একজনের থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। ওমিক্রন প্রসঙ্গে বলা উচিত, দেখা যাচ্ছে ২/৩ দিনের মধ্যেই উপসর্গ দেখা যায়। এবং কম করে ১০ দিন মত থাকছে এই ভাইরাসের প্রভাব মানবদেহে। 

বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী ওমিক্রনের সূত্রপাত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট গুলির তুলনায় অনেক আগেই পরলিক্ষিত হচ্ছে। এবং বিশেষ করে ডেল্টার তুলনায় এটির স্থায়ীত্ব অনেক কম। তবে আশঙ্কা থাকছে অন্য জায়গায়! অর্থাৎ, এটির মিউটেশন যেহেতু খুবই বেশি, তাই এটির ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও বেশি এবং বিজ্ঞানীদের মতে এই কারণেই বেশিদিন স্থায়ী হচ্ছে না এই ভাইরাস। 

উপসর্গের মধ্যে ঠিক কোনগুলো লক্ষ্যণীয়? 

করোনা ভাইরাসের অন্যান্য গুলির মত এই ভাইরাসের উপসর্গগুলো একটু অন্যধরনের। এক তো জ্বর জ্বালার কোনও প্রশ্ন নেই, বরং গলা খুসখুস এবং খিদে কমে যাওয়াকেই শিরোধার্য বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে মাইল্ড ইনফেকশন বলা একে ভুল হবে। বারবার এমনই জানানো হচ্ছে, যতসম্ভব দূরত্ব বজায় এবং ভাল অভ্যাস মেনেই চলতে হবে। অনুমতি এবং সুযোগ পেলেই বুস্টার ডোজ নেওয়া আবশ্যক। 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

symptoms Omicron virus
Advertisment