Omicron and Indian Vaccines: ওমিক্রন নিয়ে বিশ্ব সহ ভারতবর্ষে উদ্বেগ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিনিয়ত দেশের নানান শহরে আক্রান্তের সংখ্যা অল্প করে হলেও বাড়ছে। যদিও বা প্রথমে সাউথ আফ্রিকা থেকে শুরু হয় এর সংক্রমণ তবে পরবর্তীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এটিকে ভয়ের কারণ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর থেকেই দেশের নানান স্তরের মানুষের মধ্যে একটি প্রশ্নই বারবার আসছে, তাহলে যে পূর্বে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন সেটি থেকে কী লাভ হল? এবং বিজ্ঞানীদের মতে এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ার মত একটি ভ্যারিয়েন্ট তথা স্বল্প সময়ের মধ্যেই মানুষকে অসুস্থ করতে পারে। এই প্রসঙ্গেই চিকিৎসকরা কী বলছেন?
তাদের মতে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রথম থেকেই ত্রিশটির বেশি মিউটেশন সমৃদ্ধ এবং তার সঙ্গেই স্পাইক প্রোটিন এতোটাই গভীরভাবে এর কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছে, যে এর সংস্পর্শে এলেই মানবদেহে ইমিউন এর মাত্রা হ্রাস হতে পারে। এমনকি অ্যান্টিবডি অকেজো হয়ে যেতে পারে। ফলেই কোভিড ভ্যাকসিন গুলির কার্যকারিতা ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে। নতুন করে ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনার অনেক প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই মনে করেছেন তারা।
ভারতে নির্মিত ভ্যাকসিন গুলি আদৌ নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রন এর থেকে সুরক্ষা দিতে পারে?
আইসিএমআর থেকে জানানো হয়েছে, এই ভ্যারিয়েন্ট এর ধরন এবং মাত্রা সম্পূর্ণ আলাদা। ফলেই এখনও অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে। আর ভারতের ভ্যাকসিনের প্রভাব ওমিক্রন এর ক্ষেত্রে একেবারেই কাজ করবে না। এত জোড়ালো ভাব এই ভ্যাকসিন গুলির নেই। এবং সময় না গেলে কিছুই বোঝা যাবে না তবে ফের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে তৎপর হতেই হবে এমনই ধারণা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গেই, এমনও জানা গিয়েছে ভারতের নিজস্ব ভ্যাকসিন গ্রহণ করে অনেক মানুষই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাই এর থেকে তেমনভাবে কিছু আশা না করেই ভাল। মডেরনা ভ্যাকসিনের তরফ থেকে আগামী বছরের মধ্যেই ওমিক্রন এর সঙ্গে লড়াই করার জন্য টিকা প্রস্তুত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এবং বিশেষজ্ঞের মতামত অনুযায়ী এই ভ্যাকসিন সত্যিই কাজে দিতে পারে।
ভারতবর্ষে মডেরনা এখনও উপলব্ধ নয়। ফলেই কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন, স্পুটনিক ভি এগুলিই এখানকার মানুষের জন্য শিরোধার্য। এবং এই ভ্যাকসিন গুলি ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরি করে নিষ্ক্রিয় সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে পারে না। ইমিউনিটি তৈরি করতে পারলেও এটির কার্যক্ষমতা খুবই কম। সুতরাং একটু হলেও ভ্যাকসিন গ্রহণের পরেও নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন