দেশজুড়ে সর্বত্রই বড়দিন উপলক্ষে ভির ছিল উপচে পড়ার মত। আর ঠিক তার পর থেকেই চিকিৎসকদের আশঙ্কা ওমিক্রন ক্রমশই নিজের চরম মাত্রা ধারণ করবে। যদিও পূর্বে তারা জানিয়েছিলেন জানুয়ারির মধ্যভাগ থেকেই এর বেশিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে আগের লাগামছাড়া আনন্দ কিন্তু আপনাকে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে তুলতে পারে। বিশেষ করে যারা বড়দিনে কোনওরকম নিয়ম না মেনেই ঘুরে বেড়িয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে আশঙ্কা থাকছেই!
বড়দিনের লাগামছাড়া ভিড় দেখার পরেই দেশের বেশ কিছু বড়বড় শহরে নতুন বছরের আগেই নাইট কারফিউ জারি করা হয়েছে। ৩১ এর রাত্রিবেলা যাতে মানুষ রাত্রে বেশি ঘোরাঘুরি না করেন তাই নেওয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা। বিশেষ করে শহর কলকাতার বুকে দেখা গেছে অভাবনীয় ভিড়। মানুষের এমন আচরণকে অসচেতনতার তকমাও দেওয়া হয়েছে। এবং চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এখানেই কিছু সময়ের মধ্যেই ভাইরাস তার রূপ দেখাতে শুরু করে দেবে সুতরাং নতুন বছরের আনন্দে সামিল হওয়ার আগে নিজের শরীরের হাল হকিকত বুঝে নেন।
নতুন কী উপসর্গ দেখা দিচ্ছে?
যেহেতু শীতকাল সারা দেশজুড়ে তাই এই সময় ঠান্ডা লাগা কিংবা সর্দি কাশি খুব সাধারণ বিষয়। ওমিক্রনে লক্ষণ কিংবা উপসর্গ অনুযায়ী, গলা চুলকানি কিংবা অতিরিক্ত টনসিল ফুলে যাওয়ার মত বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। স্বাদ এবং গন্ধ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। মাথা যন্ত্রণা নয়, তবে জ্বলুনি অনুভূত হতে পারে এমনিই জানিয়েছে মার্কিনী এক সংস্থা। দক্ষিণ আফ্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অনেক রোগীরাই এমন আছেন যারা রাত্রের বেলা অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করতে পারেন, এবং এই শীতকালেও সেটি সম্ভব তার সঙ্গে অত্যধিক গায়ে হাত পায়ে ব্যাথা খুব সাধারণ বিষয়। খিদে না পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অতিরিক্ত দুর্বল লাগতে পারে। তাই এমন কিছু বুঝতে পারলেই সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করান।
এর সঙ্গেই বমি বমি ভাব এবং যারা হাই ব্লাড প্রেসারের রোগী তারা অজ্ঞান হয়ে যেতেও পারেন। এই সময় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন, নিজেকে একলা রাখাই সবথেকে বুদ্ধির কাজ।
ভাইরাসের আক্রমণ প্রসঙ্গে কী ধারণা পাওয়া যাচ্ছে?
সূত্যর অনুযায়ী ব্দূাংলার বুকে আজও নতুন করে অওমিক্রনে আক্রান্ত ৫ জন। সুতরাং রাজ্য জুড়ে উদ্বেগ কম নেই। জানা গিয়েছে টিকা গ্রহণ করা ব্যক্তি এবং যারা এখনও সম্পূর্ণ টিকাকরণের আওতায় নেই দুই দলেরই কিন্তু সুযোগ থাকছে আক্রান্ত হওয়ার। বিশেষ করে যারা একদম প্রথমে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তারা কিন্তু বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সেই কারণেই টিকা নেওয়ার পরেও বাঁধন ছাড়া আনন্দ আপনার জীবনে খারাপ কিছু করতে পারে।
যদিও বা বেশিরভাগ চিকিৎসকদের মতে এই ভাইরাসের প্রভাব খুবই স্বল্প কিন্তু ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা অনেক বেশি। এর মিউটেশন থেকেই হতে পরে বিপত্তি। এমনকি বাতাসে ছড়িয়ে থাকা ভাইরাস থেকে স্পর্শ কাতর বস্তু থেকেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। এই ভাইরাসের কারণে ইমিউনিটি সহজেই ভাঙতে থাকে এবং শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি সহজে কাজ করতে পারে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বুস্টার ডোজের প্রক্রিয়া অবধারিত শুরু করতে হবে। যদিও দেশে সেই প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য। শিশুদের জন্যও শুরু হচ্ছে টিকাকরণ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন