Delta And Omicron: ক্রমশই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতের নানা দেশে এই নিয়ে মানুষের আতঙ্কের শেষ নেই। করোনা ভাইরাসের পর ডেল্টা এবং এখন নতুন সংযোজন অমিক্রন। এর থেকে যেন একেবারেই রেহাই নেই। বিশ্বের অনেক দেশেই কোভিড নীয়মাবলী ফের লাঘু করা হয়েছে। এবং ভারতেও এর গ্রাফ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী।
ভারতের বুকে ডেল্টা এবং করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভীষণভাবে ক্ষতি করেছে মানবদেহকে। সেই কারণেই ওমিক্রন ভাইরাসের সূত্রপাত মানুষকে অত্যন্ত ভীত করে তুলেছে। সবথেকে বড় দুঃসংবাদ, ডেল্টার মত একেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কনসার্ন বলে ঘোষণা করা হয়েছে তারপরেই আতঙ্ক যেন শীর্ষে।
তাইবলে ওমিক্রন আদৌ কি ভারতে তৃতীয় ঢেউ এর বিপদ ডেকে আনতে পারে?
যদিও ভারতের বুকে ডেল্টার কারণে অনেক মানুষের প্রাণ গেছে এবং এখনও এমন অনেকেই আছেন যে সেই থেকে সেরে উঠছেন তাই এইসময় তৃতীয় ঢেউ গোটা দেশের মানুষের পক্ষেই খারাপ - ফের মৃত্যু এবং তার সঙ্গেই অর্থনৈতিক অবনতি এবং শিক্ষার হ্রাস।
চিকিৎসকদের মতে, অমিক্রন সম্পর্কে ভারতে এখনও উদ্বেগ নেই। তবে জানুয়ারি এর শেষের দিকে তৃতীয় ঢেউএর সামান্য সূত্রপাত হলেও তার ধরন আগের মত ক্ষতিকারক নাও হতে পারে। এবং অমিক্রন থেকে বাঁচতে আর যাই হোক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বুষ্টারের ব্যবস্থা করতেই হবে।
পার্থক্য কীভাবে করবেন?
যদিও ওমিক্রন নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেকেই এখনও গবেষণারত, এর ধাঁচ বুঝতে গেলে সময় লাগবে। তবে বিজ্ঞানীদের মতে এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং মানবদেহকে সহজেই আক্রান্ত করতে পারে। যেখানে ডেল্টার মধ্যে মিউটেশনের মাত্রা ছিল ১৮ সেখানে এটির মধ্যে ৩০ সুতরাং বেশি ক্ষতিকর তো বটেই।
শারীরিক অসুস্থতা দিয়ে কীভাবে বুঝবেন?
যদিও এর প্রভাব সেরকম ভাবে শরীরে পড়ছে না, তারপরেও বেশ কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে মানবদেহে। প্রথম হল হঠাৎ করেই খিদে কমে যাবে, দ্বিতীয় গা হাত পা ব্যথার সঙ্গে হাতের তালু, কপাল এবং গলা চুলকাতে শুরু করবে। সঙ্গেই বুকে কষ্ট, নাক বন্ধ এবং সবথেকে আসল বিষয় এর সঙ্গে জ্বর একেবারেই সম্পর্কিত নয়। ডেল্টার সঙ্গে জ্বর, কাশি এগুলো ভীষণ ভাবেই যুক্ত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন