মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সবথেকে বেশি দরকারি হল সঠিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ। সবধরনের পুষ্টি যেমন, ভিটামিন, মিনারেলস, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম যেমন প্রয়োজনীয় তেমনই খাদ্য গ্রহণের রকমফের কিন্তু মানুষের জীবনে নানান প্রভাব ফেলে। ধারণা দিচ্ছেন চিকিৎসক নিতীকা কোহলি।
Advertisment
তিনি বলছেন খাবারের সঙ্গে আয়ুর্বেদে ভাইব্রেন্ট শব্দটা ভীষণ ভাবে যুক্ত। খাবারের প্ৰানা অর্থাৎ, এর প্রাণ তথা পুষ্টি যদি আহরণ করতে হয় তবে একে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হতে হবে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল খাবারের এক একটি তাপমাত্রা এক এক ধরনের পরিস্থিতি তথা শরীরের ভাবকে বর্ননা করে। খারাপ ডায়েট, যখন তখন যা খুশি খেলেই হল না। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ সাংঘাতিক মাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে শরীরের ওপর, তাই যদি বুঝতে পারেন যে খাবার সঠিকভাবে শরীরে কাজ করছে না তাহলে এই নির্দেশ গুলো মেনে চললে আপনি বেশ লাভ পাবেন।
সঠিক ভাবে খাবার গ্রহণ করলে কিন্তু এর পুষ্টি আপনি পাবেন। এবার জেনে নেওয়া যাক যে খাবার কীভাবে গ্রহণ করলে তার কেমন প্রভাব পড়তে পারে :-
উষ্ণ আহার :- গরম তাজা খাবার গ্রহণ করলে এটি শরীরের পক্ষে যেমন ভাল, তেমনই সহজে হজম পর্যন্ত হয়। ভাতা দশার বৃদ্ধি করে, শরীরের গ্লানি দুর করে। কাফা দশার মাত্রা সঠিক রাখে, প্রদাহ কম করতে ভাল কাজে করে।
স্নিগ্ধ আহার :- স্নিগ্ধ খাবারের মধ্যে এই ধরনের কার্যকারিতা থাকে যার মাধ্যমে, হজমের সমস্যা এক্কেবারে দুর হয়ে যায়। এই ধরনের খাবার কিন্তু শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং দৈহিক গঠনে কাজ করে।
মৌন ভোজন :- অর্থাৎ চুপ করে খাওয়াদাওয়া করা। শান্ত মনে চুপ করে বসে খেলে খাবার একেবারে সঠিক পুষ্টি সহ শরীরে প্রবেশ করতে পারে। বাতাসের ধুলোকনা কিংবা অন্য কিছু একেবারেই সেইক্ষেত্রে মিশ্রিত হতে পারে না। এটি কিন্তু শরীরের পক্ষে বেশ ভাল।
জীর্ণ আনতর ভোজন :- খাবারের মধ্যে এক নির্দিষ্ট সময় বিরতি রাখা উচিত। কারণ খিদে না পেলে খাবার খাওয়া উচিত নয়। ভারী কোনও খাবার খাওয়ার আগে অন্তত একবার মূত্রত্যাগ করা উচিত। শরীর হালকা থাকবে এবং সমস্যাও কম হবে। যদি বুকে পেটে কষ্ট হয় কিংবা অম্বল হয় তবে খাবার পরপর না খেলেই ভাল।
শীঘ্র ভোজন :- ভীষণ তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এটি ভাতা দশাকে অতিরিক্ত মাত্রায় উম্মোচন করে, একনাগাড়ে খেতে থাকলে পাকস্থলী দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এতে শরীরের কষ্ট বাড়তে পারে।