Digestion and immunity : সারাদিন উল্টো পাল্টা খাওয়া বেশি হয়? সঙ্গেই হাঁটাচলা একেবারেই হয় না। পেটের আর দোষ কি? হজমের সমস্যা হওয়াই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এই হজমের সমস্যা কিন্তু আপনার ইমিউনিটি কে ধ্বংস করতে পারে। বলাই উচিত অতিরিক্ত হজমের সমস্যা মানে অত্যধিক অম্বল এবং তার সঙ্গে শরীরে অত্যধিক প্রদাহ যার থেকেই কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার এক্কেবারে ১২ টা!
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ডা নিতিকা কোহলি বলছেন, শরীরে অবস্থিত মাইক্রোবাস কিন্তু আপনার শরীরের পক্ষে বেজায় কার্যকরী। বলা উচিত সেটিই আপনার শরীরের ইমিউনিটি ধরে রাখে। সুতরাং যেই বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে তার মধ্যে, এই মাইক্রোবাস এর ঘাটতি হলে একেবারেই চলবে না। শরীরকে সুস্থ রাখতে গেলে কিন্তু নিজের পেটের সমস্যা ঠিক করতে হবে। এবং সেই কারণেই বেশ কিছু খাবার আপনার জন্য ভাল প্রমাণিত হতেই পারে।
তিনি আরও জানাচ্ছেন শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে হজমের গোলমাল দুর করা খুব দরকারী। কারণ পেটে থাকলে নাকি পিঠে সয়। সম্পূর্ণ শরীর যদি নিজের হাতের মুঠোয় রাখতে হয় তবে যেগুলি আপনার খাবারের তালিকায় ঢোকা উচিত ;
প্রথম হল দারচিনি, এটি কিন্তু আপনার হজমের গোলমাল সহজেই ঠিক করতে পারে। পিত্তরস এর জ্বালা কমায় যার ফলেই ভাল করে খাবার হজম হতে পারে এবং অসুবিধা হয় না। সঙ্গেই ব্লাড সুগার লেভেল সঠিক রাখে।
দ্বিতীয়, আদা মূল। আদা কুচি অনেকেই খান। তবে আদার একদম নিচের গোলাকৃতি অংশটি বিশেষ করে এই সমস্যায় কাজে আসতে পারে। প্রদাহ কমায়, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লেভেল বাড়িয়ে তোলে। ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে সুতরাং এটি আপনার খাওয়া উচিত।
তৃতীয়, অত্যন্ত রাত করে খাবার খাওয়ার বিষয়টি দূরে করতে হবে। তার কারণ, যত বেশি রাত, ততই হজমের সমস্যা। আর খাওয়াদাওয়া করার পর একেবারে না হেঁটে চলে, সোজা গিয়ে শুয়ে পড়লে বেশ সমস্যা।
চতুর্থ, ব্যায়াম করা বন্ধ করলে চলবে না। এবং হঠাৎ করেই ব্যায়ামের ধরন পাল্টানোর সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভাল। নির্দিষ্ট একটি রুটিন অনুযায়ী টিকে থাকুন।
পঞ্চম, স্ট্রেস নেওয়া বন্ধ করুন। এই একটি রোগ কিন্তু সবরকম সমস্যা দিতে পারে আপনাকে। মানসিক চাপ অবশ্যই দূরে করতে হবে, তাহলেই মঙ্গল।
তাই যখন তখন যা খুশি না খেয়ে শরীর ভাল রাখার চেষ্টা করুন। নিয়ম মানুন।