সারাদিনে খাবার খাওয়ার সঙ্গে হজমের দিকেও কিন্তু নজর দেওয়া দরকার। কারণ সঠিকভাবে এই কাজ না হলে শরীরে শুধু যে অস্বস্তি সেটা নয় বরং তার সঙ্গেই, ওজনের হ্রাস বৃদ্ধি আরেক অন্যতম সূত্রপাত। কথায় বলে মানুষ সারাদিনে যা হজম করে সেটাই তার শরীরে আসল পুষ্টি জোগায়। অনেকের ক্ষেত্রেই সহজে সেটি হয় না। বরং, দেখা যায় হজমের সমস্যা থেকেই নানা ধরনের প্রদাহ এবং অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা আরও শুরু হতে পারে।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ নিতিকা কোহলি বলছেন, শরীর সেটাই যেটা মানুষ হজম করতে পারে। এমনকি কিছু খাবার দাবার মানুষের শরীরের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেই নির্দিষ্ট খাবারের বাইরে গেলেই হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে। সহজপাচ্য খাবারই শরীরের আসল বৈশিষ্ট্য। আয়ুর্বেদিক ভাষায় খাবার নয় মানুষের দৈহিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যেটি হজমের উপযোগী সেটিই আসল।
অনেকেই আছেন হজমের সমস্যায় নানা ধরনের ওষুধ, পথ্য এমনকি পাচন খেয়ে থাকেন তবে আসলে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি সবথেকে বেশি কার্যকরী। এর থেকে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। যেমন :
প্রতিদিন ব্যায়াম করা খুবই দরকার। তার কারণ ব্যায়ামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হার্ট এবং লাংসের সচ্ছলতা। হার্ট সুস্থ থাকলেই কিন্তু লাংসের সুস্থতা থাকবে, ফলেই খাবার হজম একেবারেই ভাল হবে।
দৈহিক চ্যানেল কিংবা শরীরের কোষের বিকাশ ঘটাতে যোগাসন সবথেকে ভাল। এর সঙ্গেই দৈহিক পাচনের প্রবল যোগ। দেহের টক্সিন দুর করে এবং খাবার হজম হতে সাহায্য করে।
কাঁচা খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এবং তার সঙ্গেই বেশি নুন যুক্ত খাবারে শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রান্না করা খাবার থেকে পুষ্টি সহজেই শরীরে প্রবেশ করে। এর সঙ্গেই মাথায় রাখতে হবে ২৫% খাবার কাঁচা হতে হবে তার বেশি নয়।
দুধ এমন একটি খাবার যেটি সব কিছুর সঙ্গে খাওয়া যায়না। মাথায় রাখতে হবে যেন ঝাল টক, এবং নির্দিষ্ট কিছু খাবার এবং বেশ কিছু ফল দুধের সঙ্গে না খাওয়া হয়। তবে খুব মুশকিল! হজমের সমস্যা মারাত্মক ভাবে শুরু হবে।
সন্ধ্যার দিকে চিজ, বাটার মিল্ক এবং ইয়গার্ট জাতীয় খাবার কমিয়ে দিতে হবে। আবার বেশি হলে না খাওয়াই ভাল, অনেকের সহ্য হয় না সবকিছু।