Advertisment

শীতকালীন অ্যালার্জি থেকে কীভাবে রেহাই পাবেন, জেনে নিন

সিজন পরিবর্তনে এটি আরও বাড়তে পারে, তাই সতর্ক হন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

শীতকালের চামড়ার সমস্যার যেমন শেষ নেই তেমনি একেবারেই সহজে এটি সারতে পারে না। বিশেষ করে গরম পড়ে গেলে কিন্তু সেই ফুসকুড়ি আরও ভয়ানক আকার নিতে পারে। শীতের শেষের শুষ্কতা এবং ফ্লেকি ভাব স্কিনের অবস্থা আরও খারাপ করে দিতে পারে এবং সেই থেকেই এই জাতীয় ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। 

Advertisment

কেন শীতকালে এই ধরনের ফুসকুড়ি হয়? 

চিকিৎসক জয়স্রী শারদ বলছেন, আমাদের ত্বকের সবথেকে বাইরের স্তরটি এপিডার্মিস নামেই পরিচিত। এবং এর পাতলা পৃষ্ঠ স্ত্র্যাটাম কর্নিয়াম নামে পরিচিত। অনেকসময় মৃত ত্বকের কোষ এবং লিপিড গুলি ত্বকের বাঁধা সৃষ্টি করে যা শরীরকে টক্সিন এবং সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। যখন এই স্তরটি আসলেই ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখনই সেটি শুষ্ক এবং স্ফীত হতে পারে যার কারণেই এই ফুসকুড়ি দেখা যায়। যেহেতু শীতকালে আদ্রতা কম থাকে তাই ত্বকের বাধাতেও লিপিড কম থাকে, এবং এটিকে ডিহাইড্রেটেড বলে মনে হয়। শুষ্কতার কারণে স্কিনে ফ্ল্যাকিং এবং রুক্ষ প্যাচ দেখা যায়। 

প্রদাহজনিত ত্বকের কীভাবে দেখভাল করা যায়? 

সাধারণত প্রাকৃতিক তেল এবং জল এই দুটিকেই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ব্যবহার করা হয়। তবে এর মাত্রা সঠিক রাখা প্রয়োজন। যেমন? 

যদি জলের মাধ্যমে ত্বককে আদ্র রাখেন তবে গরম জলে স্নান করা বন্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত গরম জল ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ছিনিয়ে নিতে সক্ষম। ত্বকের বিপরীতমুখী হলে কিন্তু বেশ সমস্যার। 

রাসায়নিক সংস্পর্শ এড়িয়ে যাওয়া উচিত। বিশেষ করে ত্বক যখন আক্রান্ত হয়, তখন ক্রমাগত হাত অথবা ত্বক নিশ্চিত করবেন যেন সুগন্ধি জল দিয়েই বেশি মানুষ ধুতে পারেন। প্রাকৃতিক তেল এবং ময়েশ্চারাইজার কাছে রাখা খুব স্বাভাবিক। 

শুষ্কতার জন্য যে ধরনের ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করা প্রয়োজন? 

স্কিন কেয়ারের খেয়াল রাখতে গেলে দরকার প্রয়োজনীয় আদ্রতা। স্কিনকেয়ার রেজিমেন কিংবা একসফলিয়েশন এবং স্কিন পিলিংয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। ত্বকের সবথেকে পাতাল চামড়াকে সুরক্ষিত করতে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। 

হিউমেকটেন্টস ব্যবহার করুন ; হায়ালু রনিক অ্যাসিড কিংবা গ্লিসারিন এবং ময়েশ্চার সমৃদ্ধ মিশ্রণ যেটি ত্বকের আর্দ্রতা প্রদান করে। ত্বকের ভিতরে আদ্রতা সৃষ্টি করতে গেলে প্রফিলোর মত এটিও কাজ করে। সতেজ এবং কোমল রাখতেই সাহায্য করে। 

নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। ওয়াটার রিকভারি খুব দরকার। 

অনেক সময় বাসন পত্র ধোয়া কিংবা জামাকাপড় কাচা এগুলি করতে গিয়ে হাত একেবারেই শুকিয়ে যায় তখন খেয়াল রাখতে হবে গ্লাভস পরে নেওয়ার ক্ষেত্রে। এমনকি অনেকেরই হাত বারবার ঘেমে যায় সেইক্ষেত্রে এটিকে জল দিয়ে ধুয়ে নিন, সুদিং জেল লাগান। 

টোনার ব্যবহার করতে একেবারেই ভুলবেন না। হাতে পায়ে মহেশ্চারাইজার লাগান। 

winter allergy health precaution
Advertisment