গরম যেন কমবার নয়। আরও কিছুসময় তাপপ্রবাহ চলবে বলেই জানা গিয়েছে। তবে মাঝে মধ্যে এক পশলা বৃষ্টি অবশ্যই কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। কিন্তু মানুষের শরীরের গরম এবং প্রদাহ একেবারেই কমছে না। থেকে থেকে, শুধুই হাসফাঁস করছে এমন অনুভূতি। গরমে কিন্তু শরীরকে সুস্থ রাখতে গেলে বেশ কিছু অভ্যাস মেনে চলা দরকার, তার মধ্যে খাওয়াদাওয়া যেমন রয়েছে তারসঙ্গে রয়েছে বাহ্যিক কিছু বিষয়।
আয়ুর্বেদ বলছে গরমের দিনে, প্রচুর জল খাওয়ার সঙ্গেই হেলদি অভ্যাস এবং ডায়েটের দিকেও নজর দিতে হয় নইলে কিন্তু খুব মুশকিল। দেহ ঠান্ডা রাখার সহজ উপায়গুলো কী কী?
শরীরের তিনটি দশার মধ্যে অন্যতম হল পিত্ত দশা। এটির কারণেই শরীরে প্রদাহ বাড়তে থাকে। সুতরাং মাথায় রাখতে হবে যেন পিত্ত দশা সঠিক অবস্থায় থাকে। তাই এটিকে ঠিক রাখতে গেলে যে বিষয়ে নজর দিতে হবে তার মধ্যে, খাওয়াদাওয়া সবথেকে বেশি জরুরি। তরমুজ, বেদনা, আঙ্গুর, দারচিনি এই জাতীয় ফল, মশলা এগুলি অবশ্যই খেতে হবে।
শরীরের প্রয়োজনেই নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট খাবার খাওয়া খুব দরকারী। এগুলোতে গোলমাল হলেই কিন্তু ভাতা দশার মাত্রা বাড়তে থাকে। এবং সেই থেকেই প্রদাহ শরীরকে আরও মুশকিলে ফেলে।
প্রতিদিন মেডিটেশন কিংবা যোগ ব্যায়াম করা খুব জরুরী। নইলে শরীরের অঙ্গশুদ্ধ হয় না। এবং এর থেকেই নানা ধরনের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়।
অনেকেই আছেন বলে থাকেন বিষে বিষক্ষয়, তবে অতিরিক্ত গরমে প্রচন্ড গরম কোনও পানীয় কিংবা প্রচন্ড ঠান্ডা কোনও পানীয় একেবারেই পান করা উচিত নয়। এতে হঠাৎ করেই শরীরে নানা পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। তাই সাধারণ তাপমাত্রার পানীয় পান করুন।
আরও পড়ুন [ মাটির পাত্রের জল সকলের পান করা উচিত, কেন? ]
সারাদিনে অন্তত দুইবার ঠান্ডা জলে স্নান করুন। বাইরে থেকে এসে ঠান্ডা জ্বলে স্নান করা খুব দরকার। এতে শরীরের তাপমাত্রা বেরিয়ে যেতে পারে। সঙ্গেই মনে রাখতে হবে দেহকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখাও দরকারি। তাই ডাবের জল কিংবা মেথি জল এবং ফলের রস খাওয়া খুব ভাল।