Advertisment

কোভিডের পরে কোন ব্লাড টেস্টগুলো অবধারিত করানো প্রয়োজন?

সুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই ব্লাড টেস্টগুলো অবশ্যই করান

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

ভাইরাসের প্রকোপ যেন একেবারেই শেষ হওয়ার নয়। একের পর এক নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্ট এবং তার সঙ্গেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে। সেই সঙ্গেই দৈহিক বিষয়েও একেবারে নয়া উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। ঠিক কীরকম? জ্বরের প্রভাব নেই সেই জায়গায় গলা হাত পা চুলকানো এবং হালকা নাকবন্ধ দেখা দিচ্ছে। 

Advertisment

কোভিডের পরবর্তীতে দেহ একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এই ভ্যারিয়েন্ট এর ক্ষেত্রেও সেটি ব্যতিক্রম নয়, সেই কারণেই শুধু সুস্থ হলেই হল না বরং খেয়াল রাখতে হবে নিজের শরীরের। ভেতর থেকে আদৌ আপনি সুস্থ হচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ে খুবই খেয়াল রাখতে হবে। প্রসঙ্গেই পুষ্টিবিদ রাশি চৌধুরী বলেন, সকলের শরীর একেবারেই সমান নয় এবং সেই সঙ্গেই তাদের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও ভিন্ন তারপরেও নিজের যত্ন নিতে হবেই। কারণেই তিনি বলেন, সুস্থ থাকতে গেলে বেশ কিছু ব্লাড টেস্ট অবশ্যই করানো উচিত। 

ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তীতে শরীর খারাপ থাকার সম্ভাবনা খুব বেশি, প্রয়োজনে নয় সুস্থতার স্বার্থে এই টেস্ট গুলি করানো খুব দরকারি। সেগুলি কী কী? 

ক্রিয়েটিভ প্রোটিন টেস্ট ( CRP test ) : এটিকে আরেকটি নামে hs - crp টেস্ট বলা হয়। সিআরপি আসলে শরীরে সঠিকভাবে প্রদাহ সৃষ্টি হচ্ছে কিনা সেইদিকে নজর রাখে। ক্রিয়েটিভ প্রোটিন কমে গেলেই শরীরে প্রদাহ একেবারে নেমে যাবে। যদি শরীর সময়ের পরও সুস্থ না হয় তবে অবশ্যই এই টেস্ট করানো উচিত। কম করে দুবার ৪/৫ দিনের বিরতিতে। 

কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট : এটি আসলেই আপনার জন্য দরকারি। কারণ রক্তে লোহিত কণিকা এবং শ্বেত কণিকার মাত্রা ঠিক আছে কিনা এমনকি প্লেটলেট সঠিক মাত্রায় আছে কিনা এগুলি জেনে নেওয়া দরকার। তার সঙ্গেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কিভাবে শরীর সুস্থ হচ্ছে সেটিও বুঝতে পারবেন। 

ভিটামিন ডি : ভিটামিন  ডি শরীরে সঠিক মাত্রায় না থাকলে শরীরে ইমিউনিটি থাকবেনা। তাই এই টেস্ট করানো খুব দরকার। তাহলেই বুঝতে পারবেন গাফিলতি রয়েছে কিনা এবং প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট বা এই সমৃদ্ধ খাবার খেলেই চলবে। 

অন্যান্য : শরীরে রোগের অন্ত নেই মানুষের। আর যদি প্রেসার কিংবা সুগার, ডায়াবেটিস এগুলি থাকে তবে কোভিড থেকে অসুস্থতার মাত্রা বাড়াই স্বাভাবিক। এবং যদি এর থেকে গ্লুকোজ এর মাত্রা কমে যায় তবে সেই দিকে নজর দিন। কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখার চেষ্টা করুন। নয়তো এর থেকেই হার্ট অ্যাটাক অথবা অন্যান্য কিছু হতে পারে। 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

blood test COVID-19 post recovery
Advertisment