বেশিরভাগ মানুষ যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত অথবা ইমিউনিটি কম কিংবা হার্টের রোগী তাদের মধ্যেই নিউমোনিয়ার লক্ষণ বেশি দেখা যায়। বলা উচিত, অল্প আধটু ঠান্ডা লাগলেই সেই থেকে বাড়াবাড়ি সৃষ্টি হয়। অনেকেই অনেকরকম পদ্ধতির উপর ভরসা করে থাকেন বটে তবে এর থেকে রেহাই পাওয়ার সবথেকে ভাল উপায় শরীরচর্চা অথবা ব্যায়াম।
জিরসাইন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি তথ্য বলছে নিউমোনিয়ার সঙ্গে যুঝতে গেলে কিন্তু ব্যায়াম এবং শরীরকে সচল রাখা অবশ্যই দরকার। এবং ব্যায়ামের মাধ্যমেই শরীরের অন্যান্য রোগ যেমন অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, হাইপারটেনশন, লিপিডস, অ্যাডিপকিন্স, প্রদাহ হঠাৎ করেই হ্রাস পাওয়া এগুলি খুব কষ্ট দেয় মানুষকে। এবং নিউমোনিয়ার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নিউমোনিয়া এমন একটি রোগ যেটি শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত শুরু করে দিতে পারে এবং এর থেকে বেশী ফুসফুসের ক্ষতি হয়। অ্যালভিওলি নামক ছোট ছোট থলিগুলি পুঁজ এবং জল দিয়ে ভর্তি হয়ে ফুসফুসের অবস্থা শোচনীয় করে তুলতে পারে। সুস্থ ব্যক্তি যখন শ্বাস নেয় তখন কোনও সমস্যা নেই তবে এইসময় যত বিপত্তি। তবে এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
তাদের মতামত অনুযায়ী, যদিও বা ঠিক কী পরিমাণে ব্যায়াম অথবা শরীরচর্চা করলে কাজে দেবে সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই তারপরেও সারাদিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা আপনার পক্ষে লাভদায়ক হতে পারে। এতে কোষগুলি সর্বদা সজাগ থাকতে পারে ফলেই শরীর চাঙ্গা থাকে।
যদিও নিউমোনিয়াকে মারণ রোগ হিসেবেই তুলনা করা হয় এবং গবেষণা বলছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কোভিড আক্রান্ত রোগীরা শেষের দিকে এটিতেই আক্রান্ত হয়েছেন, এবং কেউ কেউ বাড়াবাড়ির কারণে ভেন্টিলেটরে যেতেও বাধ্য হয়েছেন। যেহেতু ভাইরাস থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি এখনও মেলেনি সেই বিষয়টিকেই মাথায় রেখে চিকিৎসকরা বারবার বলছেন কোনওভাবে শরীরচর্চা বন্ধ করা যাবে না। শ্বাসযন্ত্রের রোগ এই সময় খুব সাধারণ ব্যাপার তাই সব বয়সের মানুষদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। এবং যাদের শরীরে আগে থেকেই কোনও না কোনও রোগ রয়েছে তারা কিন্তু অন্ত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
যদিও এই বিষয়টির ঠিক কতটা ঝুঁকি থাকছে সেই নিয়ে নবনিত সুদ ( পালমোনারি কনসালট্যান্ট, ধর্মশালা নারায়না হসপিটাল ) বলেন এটির কোনও সত্যতা নেই, হতেও পারে আবার নাও এবং সকলের শরীর সমান নয়, তাই সবাই সমান সমস্যায় ভুগবেন। বিশেষ করে পুশআপ, কার্ডিও প্রাণায়াম থেকে তো তফাৎ বুঝতেই পারবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন