যেহেতু এখন বেশিরভাগ মানুষই বাড়িতে তাই দুপুরবেলা নিয়ম মেনে সকলেই একসঙ্গে খাবার খান। এবং তারপরেই নয়তো কাজে বসকে পড়েন, নয়তো বা ঘুমানোর চেষ্টা করেন। বিশেষ করে শীতকালে দুপুর বেলা ঘুমের অভ্যাস একেবারেই ভাল নয়। বলা উচিত শরীরের আলাদারকম কষ্ট দেখা দেয় এই সময়। কিন্তু খাবার পর নিয়ম মেনে একটি কাজ করাই উচিত।
Advertisment
পুষ্টিবিদ ডা. নীতিকা কোহলি বলছেন, আয়ুর্বেদ অনেক কিছুই বলে থাকে। তার সবকিছু যেমন মানা যায় না, তেমনই বেশ কিছু জিনিষ ফেলে দেওয়াও যায় না। বহুযুগ আগেও অনেকেই মনে করতেন, খাবার খেলেই হল তার পুষ্টি কিংবা ভাল কিছু দেখার দরকার নেই। অথবা একে সঠিকভাবে হজম করার দরকার নেই। যদিও বা এটি সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। তার কারণ খাবারের সঙ্গেই মানুষের দৈহিক শান্তি জড়িত।
তিনি আরও বলেন, খাবারের সঙ্গেই তার সময় এমনকি কতটা পরিমাণ কার জন্য শিরোধার্য সেই বিষয়েও দেখা উচিত। এবং তার বক্তব্য দুপুরবেলা খাওয়ার পর বিশেষ করে হাঁটা অভ্যাস করা উচিত।
আয়ুর্বেদের ভাষায় একে শাতোপাভালি বলা হয়। অর্থাৎ ১০০ পদে হাঁটা। সারাদিনে অত্যধিক খাবার খাওয়ার পর যদি ১০০ পা হাঁটতে পারেন তাহলে আপনার পক্ষে সেটি ভাল প্রমাণিত হতে পারে। এবং সবকিছুর সঙ্গেই হজমের সমস্যা দুর হবে, শরীর ভাল থাকবে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় খাবার খাওয়ার পরেই কষ্ট পাবেন না।
কতক্ষণ হাঁটা অভ্যাস করতে হবে? কম করে ১৫ মিনিট। তাহলেই কেল্লাফতে! যদি নিজেকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে বাড়ির অন্দরে হোক কিংবা সামনের গলিতে হাঁটা অভ্যাস করুন। খাবার সহজে পরিপাক হয় । শরীরে হজম এতটাই ভাল হয় যে জলের মাত্রা সঠিক থাকে। টক্সিন বেড়িয়ে যেতে পারে, এবং মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায়, যে কারণেই শরীরে ইমিউনিটি বাড়তে থাকে এবং বর্তমান সময়ে এটি বেশ দরকারি।
সঙ্গে একটি স্পেশ্যাল টিপ দিয়েছেন তিনি! বলছেন, হাঁটা শুধু শরীরের ক্যালোরি ক্ষরণ কিংবা হজমের গোলমাল দুর করতে নয় বরং মানবদেহের তিনটি দশা এর কারণে বেশ ভাবে উন্নত হয়। তাই দুপুরে শুধু শুয়ে না থেকে এটুকু করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন