দৈহিক গঠন হোক কিংবা রোগের ঘেরাটোপ, ব্যায়াম করতে অনেকেই বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন আজকাল। এবং একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, মানুষ লোকের কথা শুনে নিজ কিছুই অভ্যাস করতে থাকেন। যেগুলি আসলেও প্রয়োজন নেই, এমন কিছু করতে থাকেন। তবে এগুলি আদৌ শরীরের পক্ষে কার্যকরী কিনা সেই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে!
Advertisment
তবে কিওরভেদ রেমেডি বলছে, সব ধরনের মানুষদের জন্য বেশ সাধারণ কয়েকটি ব্যায়াম অথবা শরীরকে সচল রাখার উপায় রয়েছে যেগুলো অতি সহজেই যে কেউ অভ্যাস করতে পারে এবং এর কারণে শারীরিক কোনও ক্ষতিও হয়না। বিশেষজ্ঞের মতামত অনুসারে, ৩০ মিনিটের ব্যায়াম থেকেই শারীরিক সব ধরনের গ্লানি এবং খামতি কমে যেতে থাকে, সঙ্গেই মানবদেহে এক সতস্ফুর্ত ভাব দেখা যায়। সবথেকে কাজের কথা এগুলো বেশি সময় ধরে অভ্যাস করলেও কিন্তু শরীরের পক্ষে ক্ষতি করে না।
অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে সবুজ শাক সবজি, যেগুলি শরীরকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। কিছু সুপার ফুড এবং সঠিক পরিমাণে প্রোটিন, তথা ভিটামিন শরীরের পক্ষে কার্যকরী। জেনে নিন কোন ধরনের শারীরিক সচলতা যে কেউ অভ্যাস করতে পারেন:-
প্রথম, জগিং অর্থাৎ হালকা দৌড়ানো। ৩০ মিনিটের জগিং নিশ্চিতভাবে ২০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি ক্ষয় করতে পারে। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চায়, তাদের জন্য এটি সবথেকে ভাল।
দ্বিতীয়, ভারোত্তোলন কিংবা শক্তি বৃদ্ধি। ভার তুলে হোক অথবা মেশিনের মাধ্যমে এটি পেশী শক্ত করতে, মাসেল বাড়াতে বেশ ভাল কাজ করে। যাদের নির্দিষ্ট জায়গায় চর্বি বেশি, তারা ডাম্বল হোক অথবা নির্দিষ্ট ট্রেনিং হোক এটি করতে পারেন।
তৃতীয়, লাফ দড়ি অথবা স্কিপিং। অল্প সময়ে বেশি ক্যালোরি ঝরাতে চাইলে এর থেকে ভাল বিকল্প আর নেই। ২০ মিনিটে ২৪১ ক্যালোরি কমাতে পারে এটি। তাই অসুবিধে একেবারেই হয় না।
চতুর্থ, যোগা। সঠিকভাবে এটিকে অভ্যাস করলে শরীরের অনেক রোগ দুর হতে পারে। শুধু যে শরীরচর্চার প্রশ্ন সেটি নয়, বরং যোগায় মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে। কার্ব কে সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করে শরীরে ঘাটতি কমায়।