সানস্ক্রিন নিয়ে প্রচুর রকম মিথ রয়েছে। তার মধ্যে একটি সানস্ক্রিন লাগালে নাকি একেবারেই সূর্যের আলো থেকে ত্বক রক্ষা পায়। আবার অনেকেই বলেন, স্কিন কিন্তু সানস্ক্রিনের কারণে একেবারে জ্বলে যায়, অনেকেই চুলকুনি অনুভব করেন আবার অনেকেরই ঘামের সঙ্গে এই ক্রিম জমে গিয়ে নানান ভাবে ব্যাঘাত ঘটায়। তারপরেও বেশিরভাগ ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী সানস্ক্রিন বাড়িতে থাকলেও লাগানো উচিত। কিন্তু আদৌ এটি আপনার পক্ষে আদৌ ভাল কাজ করছে কিনা জানেন?
Advertisment
এই বিষয়ে ধারণা দিয়েছেন ডার্মাটোলজিস্ট গুরভিন ওয়ারাইচ। তিনি বলেন, সৌরশক্তি যেমন স্কিনের পক্ষে খারাপ তেমনই এই বিষয় ভুললে একেবারেই চলবে না যে এটি সাংঘাতিক ভাবে ভিটামিন ডি এর উৎস, আর এটি স্কিনের পক্ষে দরকারি। ত্বকে সূর্যরশ্মি না পৌঁছালে কোষগুলি সহজেই শুকিয়ে নিস্তেজ হতে পারে।
তিনি বলেন, যতই এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন কেউ ব্যাবহার করুক না কেন এটি কিন্তু সম্পুর্নভাবে স্কিনকে রক্ষা করতে পারে না। সূর্যের তেজের কাছে সবকিছুই হার মানায়। কিছু পরিমাণ ইউভি রশ্মি কিন্তু আপনার ত্বকে এমনিই পৌঁছাচ্ছে। বিস্তারিত আলোচনা করে বলেন, এসপিএফ ১৫ আপনার স্কিনকে ৯৩% সুরক্ষা প্রদান করে। এসপিএফ ৩০ ত্বকের রক্ষা করে ৯৭% এবং এসপিএফ ৫০ স্কিনের সূরক্ষার্থে কাজে দেবে ৯৮%। সুতরাং দেখা যাচ্ছে কম করে ২ থেকে ৩ শতাংশ ত্বক সূর্যের রশ্মিতে উন্মুক্ত থাকছেই।
বেশিরভাগ মানুষই সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচতে শরীরের সমস্ত উন্মুক্ত অংশেই সানস্ক্রিন লাগিয়ে বসে থাকে। এবং অতিরিক্ত পরিমাণে সানস্ক্রিন কিন্তু সূর্যরশ্মির সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে শরীরে লাল ছোপ ফেলতে পারে। তাই বুঝে শুনেই এটি ব্যবহার করুন। এবং অনেক সময় দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বার অনেকেই মুখ ধুয়ে সানস্ক্রিন ফের লাগানোর প্রয়াস করেন, এতে সবথেকে বেশি ডিএনএ ক্ষতি হতে পারে। এমনকি স্কিন ক্যান্সার এর মত রোগ হতে পারে। সূর্যরশ্মি আপনার স্কিনের জন্য স্বল্প পরিমাণে হলেও দরকার।
পরবর্তীতে তিনি বলেন, যদিও বা খাবার দাবার থেকে ভিটামিন ড পাওয়া যায় তবে সূর্যরশ্মি একেবারেই ব্যতিক্রম। এর কোনও বিকল্প নেই। সুতরাং স্কিন একটু হলেও ফাঁকা রাখুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন