ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কারণ তাঁদের অনাক্রমতা সবচেয়ে কম থাকে। দেহে সহজেই রোগ হানা দিয়ে বাসা বাঁধতে পারে এবং খুব অল্প সময়েই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
আইসিএমআর রিপোর্ট এবং বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফরম্যাটিকস অ্যান্ড রিসার্চ-এর তথ্য ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশে পুরুষদের মধ্যে মোট ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪২১-এ। ২০২৫ এ এই সংখ্যা ৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৭৫-তে পৌঁছে যেতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা।
অন্যদিকে মহিলাদের মধ্যে ২০২০ সালে মোট ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ১২ হাজার ৭৫৮। ২০২৫-এ এই সংখ্যা ৮ লক্ষ ৬ হাজার ২১৮-তে পৌঁছবে, এমনটাই আশঙ্কা। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্রেস্ট ক্যান্সারে। এরপর রয়েছে ফুসফুসে ও মুখে ক্যান্সারের পরিসংখ্যান।
রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, দেরিতে সময়মতো চিকিৎসা না করার কারণ বর্তমানে ক্যান্সারকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগে পরিণত করেছে। বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, অনেক ক্যান্সার রোগী এই করোনা মহামারী চলাকালীন চিকিৎসা এড়িয়ে চলেছেন, যা আদতে ক্ষতিকর।
কুম্বল্লা হিল হাসপাতালের মেডিকেল অনকোলজিস্ট ডাঃ সুহাস অগ্রে বলেন কেমোথেরাপি যাঁরা নেন তাঁদের দেহে রক্তকণিকার সংখ্যা কম থাকে। ফলে ইমিউনোপ্রেসড হওয়ায় কোভিড -১৯ রোগের জন্য তারা ঝুঁকিপূর্ণ। যাদের ফুসফুসে ক্যান্সার রয়েছে তাঁদের জন্য এইসময়টি সাংঘাতিক। তাই কোভিড লড়াই তাঁদের জন্য অনেকটাই কঠিন।
জেন মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের সার্জারি অংকোলজিস্ট ডাঃ তানভীর আবদুল মাজিদ বলেছিলেন, “করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে ক্যান্সার রোগীদের মনে অনেক ভয় রয়েছে। তবে ভ্যাকসিনগুলি খুব নিরাপদ। তাই সময় মতো টিকা দেওয়া উচিত। ” এছাড়াও ক্যান্সার রোগীদের কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন