উৎসব শেষে চারিদিকের অবস্থা ঠিক কীরকম! একেতেই অনিয়ম করার ফলে শরীরের অবস্থা বেশ খারাপ। এবং বায়ু দূষণের কারণে অনেকেই ভুগছেন নানান সমস্যায়। দীপাবলি উপলক্ষেই চারিদিকে আতশবাজির চক্করে ধুলোবালি তথা বাতাসে নানান ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে অনেকেই ভুগছেন সর্দি কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা এবং এমনও শোনা যাচ্ছে জ্বরের আওতায় পড়ছেন অনেকে।
প্রথমেই সূত্রপাত হচ্ছে চোখের অ্যালার্জি, গায়ে জ্বলুনি ভাব, গলায় চুলকুনি এবং মাথা যন্ত্রণার। সেই থেকেই নাকি দিন পার হলেই বাড়ছে সংক্রমণের প্রভাব, জ্বর আসছে অনেকেরই। এমনিতেই এখন বায়ুদূষণের দিকটি খুবই সমস্যাজনিত তারমধ্যে আবার শারীরিক গোলযোগ। সিজনাল কিছু ইনফেকশন এখন কষ্ট দেওয়া খুব স্বাভাবিক।
কিন্তু কীভাবে এটি মানবদেহের ক্ষতি করতে পারে?
জানা গেছে, এমন কিছু দূষণকারী পদার্থ বায়ুতে লুকিয়ে আছে যারা বাতাসের গুণমান হ্রাস করে। আবার অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিনের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি খারাপ থাকার কারণেও শরীরে গন্ডগোল হতে পারে। এবং বিশেষ করে অকাল জন্ম, জ্ঞানের ঘাটতি, এবং শ্বাসযন্ত্রের ওপর প্রভাব কিন্তু ভয়ংকর হতে পারে। তবে গবেষণা বলছে বায়ুদূষণ অন্তত ২০% কোভিডের মৃত্যুর জন্য দায়ী। তার সঙ্গেই শরীরের কম্প্লিকেশন আরও বাড়তে পারে।
তবে আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং বায়ুদূষণ আদৌ কী ভাইরাল ফিভার এর মাত্রা বাড়িয়ে তোলে?
ঋতুগত পরিবর্তন কিন্তু অসুস্থতার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। বলা উচিত সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলেছে। নিয়মের অভাব, ইমিউনিটির দিকে নজর না দেওয়ার কারণেই বেড়ে গিয়েছে এর মাত্রা। বাতাসের দূষণ, উপসর্গের মাত্রাকে আরও দীর্ঘায়িত করে এবং ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইনফ্লুনজা জাতীয় রোগীদের হদিশ মিলছে। তার সঙ্গে উদ্বিগ্নতা বজায় থাকছে।
গবেষণা বলছে, বায়ুদূষণ কিন্তু শ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে বাঁধা দিতে পারে। অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলেই ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস সংক্রমণ, ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়ার মত শারীরিক অবনতি অনেকের দেহেই জায়গা করে নিয়েছে। কথায় বলে দূষিত বায়ু শ্বাস নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শ্বাসযন্ত্রের জ্বালা অনুভূত হয় এবং জ্বর কিন্তু আপনাকে নাজেহাল করে দিতে পারে। এমনও দেখা যায় বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে সাদা রক্ত কণিকার কোষগুলি বেশি আক্রান্ত হয়। শরীরে অতিরিক্ত প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। ফলেই দূষণের সঙ্গে ভাইরাল ফিভারের বিষয়টি জড়িত।
যখনই আপনি অসুস্থ বোধ করবেন, অর্থাৎ বুকে ব্যথা কিংবা শ্বাস নিতে অসুবিধে, মাথা যন্ত্রণা, বমিভাব, এবং মাথা ঘোরানো - এর সম্মুখীন হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করান। বাড়িতে বসে থাকবেন না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন