করোনা আতঙ্কে চারিপাশের পরিবেশ জর্জরিত। মানুষের জীবনযাত্রায় পড়েছে স্থগিতাদেশ! সবকিছুতেই যেন বাধ বাধ ভাব। এবং তার মধ্যেই ভ্যাকসিনের কড়া নিরাপত্তা যেন বলার অপেক্ষা রাখে না। চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছিলেন ভাইরাসের এই প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য, বছরে অন্তত একটা বুস্টার ডোজ নিতে হতে পারে। বর্তমানে কিছু দেশের অন্দরে কিন্তু চতুর্থ ডোজের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এবং আগামী তিন সপ্তাহে সেটি কার্যকরী হওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই এতগুলো ভ্যাকসিন আদৌ শরীরের পক্ষে সত্যিই কার্যকরী।
গবেষণা থেকে কী জানা যাচ্ছে?
ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, তৃতীয় ডোজ তাও বর্তমান সময়ে কার্যকরী কিনা সেই সম্পর্কেই ধারণা নেই, এবং চতুর্থ ডোজ কী ফলাফল দেবে সেই নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। সুতরাং সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে, সবকটি ভ্যাকসিনের রূপই পুরনো মলিকিউল ভেবেই বানানো, এটিকে সময়ের সঙ্গে উচ্চমানের করা প্রয়োজন। তবে চতুর্থ বুস্টার ডোজের সাপেক্ষে কোনও কার্যকরী সমর্থন জানানো হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয় অতিরিক্ত মাত্রায় বুস্টার ডোজ কিন্তু মানুষের শরীরে অন্যরকম ক্ষতি করতে পারে। বেশকিছু দেশে ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজের সম্পর্কে বলা হয়েছে কিন্তু এটি শারীরিক ভাবে নয় বরং মানসিক অশান্তি সৃষ্টি করবে বলেই জানিয়েছেন। কী বলছেন WHO এর আধিকারিকরা?
তাদের মত অনুযায়ী, কোভিড ১৯ এর প্রতিরোধক ক্ষমতার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সেই থেকেই মানুষ শারীরিক ভাবে যথেষ্ট ক্লান্তি অনুভব করবেন। ঘন ঘন বুস্টার থেকে দৈহিক টি সেল ( T cell ) ক্রমশই দুর্বল হতে পারে।
চিকিৎসকরা কী বলছেন?
মার্কিন প্রদেশের গবেষণা অনুযায়ী তারা বলছেন, ঘন ঘন বুস্টার থেকে উদ্বেগ সৃষ্টি হবে। বারবার অ্যান্টিজেন শরীরে প্রবেশ করলে টি কোষের এনার্জি একেবারেই সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারে না। অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যান্টিজেন শরীরের কোষগুলিকে আরও ভেতর থেকে ঝাঁঝরা করে তোলে ফলে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডি নিজে থেকেও কাজ করতে পারে না। ফলেই টি কোষ নিজের কার্যক্ষমতা হারায়। বিশেষ করে যাদের মধ্যে এইচ আই ভি এবং ক্যান্সার রয়েছে তাদের কিন্তু বারবার ভ্যাকসিন একেবারেই নয়। এতে পরবর্তীতে রাসায়নিক অ্যান্টিজেন বেড়ে গেলেই ঝামেলা!
প্রতি চার মাস অন্তর টিকা দেওয়া প্রসঙ্গে কী জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা?
তারা বলছেন, এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। যদি কোনও মানুষ নিজে থেকেও এমন করতে চান তাহলে তাকে অবশ্যই বাঁধা দেওয়া উচিত! কোষগুলিকে একটু হলেও বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন। ইমুনোলোজি রিসার্চ টিমের সদস্যরা বলছে, একাধিক বুস্টার ইমিউনিটি সিস্টেমকে আচ্ছন্ন করে রাখতে পারে এমন কোনও ধারণা নেই, তবে বুস্টার দিলে ছয় মাস পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে সেটি। সুতরাং সবসময় বেশি হলেই যে ভাল সেটি একেবারেই ঠিক নয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন