omicron and mix-vaccine: ওমিক্রন এর প্রভাব দেশজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে। সঙ্গেই মানুষের উদ্বেগও ঊর্ধ্বমুখী। তবে এই বিষয়ে অনেক ধরনের প্রশ্ন উঠে আসছে প্রতিনিয়ত। এক তো, ভ্যাকসিন আদৌ কাজ করবে কিনা, দ্বিতীয় কী ধরনের লক্ষণ থাকছে শুরুতে এবং আরও অনেক কিছু। তবে গবেষণা বলছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা একটিভাবে কিন্তু বৃদ্ধি করা যায়, সেটি হল দুটি ভ্যাকসিন কে একত্র করে সেটিকে নতুন ডোজ হিসেবে প্রেরণ করা ।
বিশেষজ্ঞের মতে, এটি করা অবশ্যই যায় তবে তার আগে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন - আদৌ দুটিকে মিক্স করা হলে সেটি সঠিকভাবে কাজ করবে কিনা, অথবা কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে কিনা সেই নিয়েও ভাবনা চিন্তা প্রয়োজন।
ভ্যাকসিনের মিলিত ডোজ আদৌ কাজ করতে পারে?
গবেষণা বলছে ইউরোপের অনেক দেশেই এই বিষয় নিয়ে তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এবং দেখা যাচ্ছে, একই ব্র্যান্ডের দুটি ভ্যাকসিন নিয়েই সেটি করা সম্ভব। এতে অল্প হলেও ওষুধের কার্যকারিতা বাড়বে এবং ইমিউনিটি তেও প্রভাব বিস্তার করবে সহজেই। চিকিৎসার ভাষায় ফেলকসিবেল ডোজ মানে একটু আলাদা - অর্থাৎ একটি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের সঙ্গে অন্য ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে তারপরেই একে প্রস্তুত করা যায়। এবং বেশিরভাগই আশা করছেন এটি ওমিক্রন থেকে একটু হলেও রেহাই দিতে সক্ষম।
জানা যাচ্ছে, যেহেতু এই ভ্যারিয়েন্ট অত্যধিক মিউটেশন সমৃদ্ধ তাই জোড়ালো কিছু না বলে সহজে সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। এবং দুটি ভ্যাকসিনের মিশ্রণ সেই অনুপাতে কাজ করতে সক্ষম।
গবেষণা থেকে কী জানা গিয়েছে?
ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি এবং ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল। এর তরফ থেকে একটি তথ্য জানান দিচ্ছে ভেক্টর ভ্যাকসিন এবং এম-রেনা ভ্যাকসিনের মিলিত প্রভাব কিন্তু দারুণ কাজ করতে পারে।
অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভাইরাসের সঙ্গে মডারেনা এবং ফাইজারের মিলিত প্রয়াস আপনাকে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন থেকে মুক্তি দিতে পারে। কারণ এটি সহজেই অ্যান্টিবডি তৈরি করে রোগের মাত্রা কম করতে পারে। টি - কোষগুলিকে সহজেই উজ্জীবিত করতে পারে। ভ্যাকসিন শিডিউলের মধ্যে এটি যদি সেইভাবে কার্যকরী হয় তবে মানুষেরই মঙ্গল।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে?
ভ্যাকসিনের জোড়ালো প্রভাব থেকে অল্প ব্যথা বেদনা, হালকা জ্বর, সঙ্গেই একটু গা হাত ফোলা ভাব, খিদে কম এগুলি দেখা দিতেই পারে। তবে অতিরিক্ত কিছুর সম্ভাবনা নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন