মানুষের জীবনে এখন বেশিরভাগ সময় শুধু কাজ আর কাজ, এরই মাঝে একেবারেই খেলাধুলা তো দূরের কথা মাঠে গিয়ে দৌড়ানো পর্যন্ত হয় না। কিন্তু এমন অনেক মানুষই আছেন যারা একটু ফুটবল, ক্রিকেট বেশ পছন্দ করেন কিংবা সম্পূর্ন জ্ঞান মাঠের প্রতিই। এবং খেলার সঙ্গেই হাতে পায়ে ব্যাথা লাগার বিষয়টিও খুব সম্পর্কিত। ক্র্যাক হোক বা টান, এগুলি একটু আধটু হয়েই থাকে। তবে বেশ কিছু বিষয় খেলার সঙ্গে একেবারেই সম্পর্কিত নয় বা উচিত মানুষের ধারণাকে প্রভাবিত করে এগুলি।
এমফাইনের সদস্যরা বলছেন অনেক সময় দেখা যায়, খেলাধুলা নিয়ে প্রশিক্ষকরা একধরনের কথা বলেন অন্যদিকে চিকিৎসকদের ধারণা একেবারেই আলাদা। প্লেয়িং থ্রু পেইন এই শব্দটি অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন বটে তবে দীর্ঘসময় এর মধ্যে দিয়ে গেলে কিন্তু ভীষণ বিপদ! কেন?
নো পেইন নো গেন? এই কথাটি অনেকের সঙ্গেই পরিচিত বিশেষ করে যারা খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত তাদের মধ্যে অনেকেই শুনে থাকেন। তবে ব্যথা লাগার পরেও কোনও মানুষ যদি খেলতে থাকেন অথবা এর ট্রিটমেন্ট না করায় এতে হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে সঙ্গে অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্রশিক্ষণের দিকেও নজর দিতে হবে।
খেলার আগে স্ট্রেচিং করেন সকলেই। এবং এই ধারণা অনেকেই রাখেন যে এর থেকে ব্যথা লাগার পরিমাণ কমে যায়। তবে বর্তমানে গবেষণা বলছে স্ট্যাটিক স্ট্রেচিং পেশীকে আরও বেশি নমনীয় করে তোলে যার থেকে বিরাট সমস্যা হতে পারে এবং বেশি পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
শুধুই বিশ্রাম? না একেবারেই নয়! বিশ্রামের সঙ্গেই অ্যাকটিভিটি মডিফিকেশন খুব দরকার। অনেক সময় দেখা যায়, মানুষ মানসিক ভাবে ফিট থাকে না সেই সময় এই ধরনের অ্যাক্টিভ ভাব খুব দরকার।
আচমকা পা মুচকে গেছে কিংবা ব্যথা পেয়েছেন? এই সময় বিশেষ করে পা এর গোড়ালির ক্ষেত্রে ভাল করে চিকিৎসা করানো ভাল। শুধু স্প্রে করলেই ঠিক হবে না। যদি ঠিক করে ট্রিটমেন্ট না হয় তবে পরবর্তীতে আরও মুশকিলে পড়বেন।
গরম সেঁক নয়! ঠান্ডা বরফের সেঁক দিন। এতে অসুবিধা কম হবে। অনেকেই বলেন ঠান্ডা গরম একসঙ্গে দিতে তবে এতে পরের দিকে ব্যথা বাড়তে পারে তাই সাবধান।