Advertisment

সাবধান! অতিরিক্ত শরীরচর্চা ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ

অত্যধিক ব্যায়াম কিন্তু শরীরকে দুর্বল করতে পারে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অত্যধিক শরীরচর্চা খারাপ বিষয়

ব্যস্ত সময়! তবে নিজেকে ফিট এবং ফাইন রাখতে অনেকেই পছন্দ করেন। শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখা যেমন জরুরি তেমনই আদৌ সঠিক সময়ে সঠিক পরিসরে এবং অবশ্যই সঠিক মাত্রায় শরীর চর্চা করছেন কিনা জানা আছে তো? অতিরিক্ত এক্সারসাইজ কিংবা জিমে গিয়ে ঘাম ঝড়ানো কিন্তু শরীর খারাপের লক্ষণ।

Advertisment

সব সময়ই দেখা যায়, জিমে একজন প্রশিক্ষক থাকেন যিনি আপনাদের সাহায্য করেন কোনটি কী পরিমাণে করলে শারীরিক ক্ষতি হবে না। তারপরেও অনেকেই সেই মাত্রা অতিক্রম করেন। তার সঙ্গে সাংঘাতিক মাত্রায় ডায়েট কিন্তু আপনার শরীরকে দুর্বল করে তোলে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা: ডিকসা ভাবসার এই প্রসঙ্গে কোনটি সঠিক এবং কোনটি বেঠিক সেই সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন।

সঠিক শরীরচর্চা কোনটি?
যেসব কাজ শরীরকে কেবল ক্লান্ত করে তোলে, শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে এমনকি হজম ব্যবস্থা সঠিক করে, খিদে বাড়ায় সেটিকে ব্যায়ামের আওতায় ধরা হয় কিংবা তাকেই সঠিক ক্রিয়াকলাপ বলা হয়।

উপকারিতা: ব্যায়াম সামগ্রিকভাবে শরীরে পুষ্টি জোগায়। দীপ্তি এবং দেহের পেশী উন্নত করে। হজম শক্তি, স্থিতিশীলতা এবং অলসতা দুর করে। ঠান্ডা হোক কিংবা গরম দৈহিক সহনশীলতা বাড়ায়। স্থূলতা কম করতে এর থেকে ভাল কিছুই নেই।

সারাদিনে ঠিক কী মাত্রায় ব্যায়াম করা উচিত?
বলা হয়ে থাকে গরমে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ একটু কম করাই ভাল। এমনিতেই সেইসময় শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয়। এবং শরীরে জলের প্রয়োজনীয়তা বেশি থাকে। তাই গরমকালে বেশি শরীরচর্চা না করাই শ্রেয়।

আবার শীতকালে ঘাম একেবারেই হয় না। ওজনও বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত মনে হবে শক্তি প্রায় অর্ধেক ততক্ষণ ব্যায়াম করা যেতে পারে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে সঠিক খাবারের বিষয়টি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট শরীরে না গেলে শরীরের ধারণক্ষমতা ক্রমশই কমবে এবং টিস্যু ক্ষয় এর সঙ্গে সঙ্গে নানান ক্ষতি হতে পারে।

আরও পড়ুন হাঁপানি রাত্রে ভীষণ কষ্ট দেয়? সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

সবাই কি কঠিন মাত্রায় ব্যায়াম করতে পারেন?
একদমই না। প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে কোন বয়সের মানুষ আপনি। শিশুদের এমনকি মধ্যবয়স্কদের অতিরিক্ত ব্যায়াম না করাই শ্রেয়। আবার যাঁরা পিত্ত রোগ কিংবা পিসিওএস কিংবা বদহজমে ভুগছেন তাঁদেরও ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

শিশুরা সবসময়ই দৌড়াদৌড়ি করে তাই তাঁদের অত্যধিক ব্যায়ামের দরকার নেই। যাঁদের জয়েন্ট এবং অন্যত্র ব্যথা হয় তাঁদের পক্ষে প্রাণায়াম ভাল। সুগার রোগীদের ক্ষেত্রে জগিং এবং যোগব্যায়াম সবথেকে কার্যকরী।

তাই, অজান্তেই ভুল করবেন না। নিজে জেনে বুঝেই এই পথে হাঁটুন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

facts Over Exersice health issue not good for health
Advertisment