শীতকাল মানেই শরীরের জন্য কিছু না কিছু গন্ডগোল লেগেই রয়েছে। শরীরের পক্ষে কিন্তু শীতকাল একেবারেই খুব একটা সুবিধার নয়। তাই এই সময় নিজের খেয়াল রাখা খুব জরুরি। বিশেষ করে যারা সহ রোগে আক্রান্ত তাদের মধ্যে কিন্তু নানা জাতীয় সমস্যা খুব দেখা যায়। এবং শীতকালে শারীরিক গতি কমে যাওয়ার ফলে খাবার দাবার হজম থেকে প্রোটিন কিংবা ভিটামিনের মাত্রা ঠিক রাখা সবেতেই অসুবিধে দেখতে পাওয়া যায়। প্রসঙ্গেই ধারণা দিয়েছেন পুষ্টিবিদ নমামী আগরওয়াল।
তিনি বলছেন শীতকাল মানেই ভুল হওয়া স্বাভাবিক এবং সেই সঙ্গেই শরীর অসুস্থ হওয়াও খুব সাধারণ বিষয়। মানুষ জল খেতে ভুলে যান, তার মধ্যে খাবারের ইচ্ছে শক্তি থাকে না। এবং বিশেষ করে এই সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে খুব ইচ্ছে হয়। হবে আয়ুর্বেদের ভাষায় একে এড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।
এইসময় শরীরে কার্বহাইড্রেট অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায়, এবং সেই থেকেই ব্লাড গ্লুকোজ তথা সুগারের পরিমাণ বাড়তে থাকে। তাই শরীরে অনেকরকম উপসর্গ দেখা দেয়। এমন সময় বেশি কিছু চিন্তা না করেই শরীর এবং খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দেওয়া উচিত। অতিরিক্ত কার্ব যুক্ত খাবার খেলেও শরীরের প্রয়োজনে ভিটামিন এবং প্রোটিন খাওয়া অবশ্যই দরকার। তবেই ব্যালেন্স বজায় থাকবে। শীতকালে দৈহিক ব্যালেন্স বজায় রাখা খুব দরকারি।
দ্বিতীয়, মনে রাখতে হবে কার্ব বেড়ে গেলেই কিন্তু সেরেটোনিন কমতে থাকে। এবং সেরেটোনিন আপনার হ্যাপি হরমোনের বাহক সুতরাং মন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অবশ্যই ভিটামিন সি সম্পর্কিত খাবার এই সময় খাওয়া অভ্যাস করতেই হবে। টক মিষ্টির চাহিদা কম করে ফলে, শরীরের তাপমাত্রা এবং প্রদাহ সঠিক অবস্থায় থাকে।
জল খাওয়া একেবারেই বন্ধ করবেন না। তার কারণ, জল শুধু হাইড্রেশন নয়, বরং তার সঙ্গেই লিভার এবং প্যানক্রিয়াটিক সেলে আদ্রতা প্রদান করে। শীতকালে শরীর শুকিয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক! তাই এইসব বিষয়গুলি একটি মনেই রাখুন!
শীতকাল মানেই ঘরের তাপমাত্রা অত্যধিক বাড়িয়ে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। বরং সেই জায়গায় নিজস্ব তাপমাত্রা থাকাই ভাল। এটি আপনার স্কিন এবং শরীরের জন্য খারাপ। যারাই অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে বাঁচতে রুম হিটার কিংবা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করেন, সেটি কমিয়ে দিন তবেই ভাল।
শীতকালে অত্যধিক মাত্রায় গরম জল খেতে ইচ্ছে করলেও খাবেন না। কারণ এর থেকে শরীর কোষে যেতে পারে ফলেই ঝামেলায় পড়তে পারেন, খিদে কমে যাওয়া, বমি ভাব স্বাভাবিক বিষয়।
অতএব, শীতকালে একটু বেশিই নিজের খেয়াল রাখুন।