হরমোনাল সমস্যাজনিত এই রোগ নারীদেহে খুব স্বাভাবিক। এবং এর থেকেই পরবর্তীকালে ক্লান্তি তবে সহজে ঘুম না আসা, অতিরিক্ত খিদে পাওয়ার মত সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এই রোগের ঘোরতর কিছু শত্রু আছে যেগুলোর কারণে এর মাত্রা বাড়তে পারে! আর সেগুলো কী কী?
Advertisment
বিশেষজ্ঞ সাদাফ বলছেন, pcos থাকলে নিজেকে খুব নিয়মে এবং সাবধানে রাখতে হয়। বিশেষ করে, খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর এবং শরীরকে সুস্থ রাখা, ক্লান্তি অনুভব না করা এগুলো দেখা খুব দরকার। যে কাজগুলি একদম করা উচিত নয় তার মধ্যে ;
প্রথমত, খাবার এড়িয়ে যাওয়া অর্থাৎ সঠিক সময়ে সঠিক খাবার না খাওয়া, সেটি জলখাবার হতে পারে অথবা দুপুরের লাঞ্চ। আপনার জন্য এটি একদম ঠিক নয়। আমাদের শরীরে খাবারের প্রয়োজনীয়তা আছে, তবেই শক্তি বজায় থাকে। বেশিক্ষণ খাবার না খেলে ব্লাড সুগার নেমে যায় এবং সেই থেকেই শরীরে বিরক্তি ভাব দেখা দিতে থাকে, সাবধানে থাকা উচিত। আবার অনেক্ষণ খাবার না খেয়ে পরে একসঙ্গে বেশি খেলে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এটি ভাল নয়!
দ্বিতীয়ত, শাক সবজি এড়িয়ে যাওয়া একদম উচিত নয়। তার কারণ এটি ফাইবার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ সঙ্গেই ক্যালোরির মাত্রা বাড়তে দেয় না। তাই লেটুস কিংবা গাজর, শশা, ব্রকলি এগুলি খাওয়া খুব দরকারি।
তৃতীয়ত, চর্বি খাওয়া এই রোগের পক্ষে ভাল নয়। তবে ভাল কিংবা ওমেগা থ্রি ফ্যাট অথবা স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের পক্ষে খুব ভাল কাজ করে সুতরাং সেটিকে বাদ দিলে একেবারেই চলবে না।যদি সঠিক পরিমানে ফ্যাট শরীরে না থাকে তবে, প্রদাহ বেড়ে যায়। ব্লাড সুগারের মাত্রা এবং ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস বৃদ্ধি হতে থাকে এর ফলে- শরীরের পক্ষে সেটি সুখকর নয়।
চতুর্থত, শরীর নরাচড়া করা খুব দরকার। সুতরাং মাথায় রাখতে হবে যে একজায়গায় বসে থাকলেই হল না। স্থূলতা কিন্তু খুব খারাপ, বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি, তাই সতর্ক থাকা দরকার।