বাচ্চাদের দিকে সবসময়ই একটু বেশি নজর দেওয়া দরকার। ওদের খাওয়াদাওয়া থেকে শারীরিক অসুস্থতা কিংবা প্রতিদিনের অভ্যাস সবকিছুই নিজের তদারকিতে করা অতি আবশ্যক। অনেক সময় দেখা যায়, ওদের নিজেদের কারণেই ওরা শরীর খারাপে ভুগছে। বিশেষ করে সকালবেলা উঠেই দাঁত মাজা হোক কিংবা, নিজেদের হাইজিন বজায় রাখা - একটু হলেও ওদের দিকে তাকানো যায়।
Advertisment
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চারা বেশিরভাগ সময় দাঁত মাজা হোক কিংবা নিজেদের মাড়ি, গাম এগুলো পরিষ্কার রাখা - ওদের সচেতনতা একেবারেই থাকে না। সুতরাং বড়দের অবশ্যই ওদের হাতে ধরে এসব শেখানো উচিত। কিন্তু যে ভুলগুলি ওরা থাকে, সেই থেকে কিন্তু সমস্যাদায়ক কিছু সৃষ্টি হতে পারে।
আট বছরের ছোট শিশু যারা তারা একেবারেই নিজেদের শক্তি কিংবা ব্যালেন্স সম্পর্কে বুঝতে পারে না। তারা মাঝেমধ্যেই গোলমাল করে ফেলে - এই যেমন, হঠাৎ করে ব্রাশ দিয়ে দাঁতে খোঁচা খাওয়া ছাড়াও ঠিকভাবে এটিকে পরিষ্কার না রাখা। তাই কিছুদিন পর্যন্ত ওদের নিজে থেকেই দাঁত মাজানো দরকার।
প্রতিদিনের খাবারে মিষ্টি কিংবা সুগার জাতীয় খাবার দাবার না যোগ করলেই ভাল, এতে সবথেকে বেশি ক্যাবেটিস, দাঁতে ব্যথা এবং সঙ্গেই মুখে বাজে গন্ধের পরিমাণ বাড়তে পারে সুতরাং খাওয়াদাওয়ার বিষয়েও সতর্ক থাকা উচিত।
বাচ্চাদের দাঁতের জন্য সবথেকে ভাল ফ্লুরাইড যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা, এটি দাঁতের এনামেল ভাল রাখতে সাহায্য করে।
এবং ক্যাবেটিস সংক্রান্ত অন্যান্য যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে তার মধ্যে,
বেশি মাত্রায় চিবানো মাড়ির পক্ষে খারাপ হতে পারে, এবং অনেকেই চিবাতে গিয়ে মাড়িতে আঘাত করতে পারে এটি যেন না হয়।
কথা বলতে খুব সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়, শব্দ জড়িয়ে আসে, এটি কিন্তু অবিলম্বে সমাধান করা দরকার।
দাঁত সহজে মাড়ি ফুঁড়ে উঠতে পারেনা, ফলেই অসম্ভব ব্যথা হতে পারে। এবং তার সঙ্গেই ইনফেকশন কিংবা আরও কিছু সমস্যা দেখা যেতে পারে।