দুপুর বেলা খাবার পরে কিন্তু শরীর একটু ঘুম ঘুম করতেই পারে এটি কিন্তু একেবারেই অন্যায় নয়। ক্লান্তি অনুভব করা স্বাভাবিক। তারপরেও খাওয়াদাওয়ার পরে বেশ কিছু এমন জিনিস আছে যেগুলি না করলেই কিন্তু শরীরের পক্ষে ভাল। যদিও আপনি সেগুলি না জেনেই করেন তবে এবার কিন্তু সেই থেকে ছুটি।
Advertisment
পুষ্টিবিদ ডা ডিকসা ভাবসার বলেন, সুস্থ এবং শান্ত শরীর পেতে গেলে কিন্তু এই অভ্যাসগুলো খাবার খাওয়ার পরে একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে। নিজের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্যদের জানাতে হবে এই বিষয়ে। কয়েকটি বিষয় যেমন ভীষণভাবে মনে রাখা দরকার ;
খাওয়ার পরেই সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পরা অথবা ঘুমানো চলবে না। এতে খাবার যেমন হজম হয় না তেমনই প্রয়োজনের থেকে বেশি জলের মাত্রা এবং ফ্যাট বাড়তে পারে। আর খাবার হজম না হলে শারীরিক মেটবলিজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
খাবার সঙ্গে সঙ্গে জল খাওয়া কিংবা একেবারেই শেষ করে উঠে ঢকঢক করে জল খাওয়া আপনার স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতি হতে পারে। কারণ অতিরিক্ত জল কিন্তু হজমের সমস্যা করতে পারে এবং মানবদেহে ওবেসিটির কারণ দেখা দিতে পারে। তাই এটি একেবারেই নয়।
খেয়েদেয়ে উঠেই সূর্যের আলোয় যাবেন না। এটি আপনার রক্ত সঞ্চালন থেকে নার্ভের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ফলেই শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অর্গানে ঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় না। হজমের সমস্যা দেখা দেয়। মেটাবোলিজম কমে যায়, ফলেই মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে।
কোনওরকম এক্সারসাইজ যেমন সাঁতার, সাইকেলিং, জগিং এগুলি একেবারেই চলবে না খাওয়ার পর। শরীরে বেশি পরিশ্রম হলে কিন্তু খাবার হজম হবেই না সঙ্গে বমির সমস্যা হতে পারে। খাবারের পুষ্টিও যাবে না শরীরের অভ্যন্তরে।
একেবারে দুপুরবেলা খাবার পরেই পড়াশোনায় না বসাই ভাল। এই সময় শরীরের অর্গান গুলি সঠিকভাবে কাজ করতে চায় যাতে খাবার ঠিকভাবে হজম হয় এবং সেই সময় দাড়িয়ে মানসিক চাপ কিংবা অন্যদিকে কনসেনট্রেশন রাখা খুব লাভদায়ক নয়। আর এমনিও এই সময় ব্রেনের দশা একটু আরাম অবস্থায় থাকে তাই সেই সময় পড়াশোনা না করাই ভাল।
খাওয়ার পরে স্নান করা খুব খারাপ। খাবার খাওয়ার পরে স্নান করলে মেটাবোলিজমে ঘাটতি থাকে, শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়, ফলেই খাবারের হজমে সমস্যা হয়। শরীরের প্রয়োজনীয় প্রদাহ কম করলে খুবই অসুবিধে হতে পারে। তাই আজ থেকে এই ভুল অলসতার কারণেও করবেন না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন