নিজের ডায়েট নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। ওজন নিয়েও সমস্যায়, অনেক কিছু করছেন তবে একেবারেই ওজন কমছে না? সমস্যা আপনার নিজের মধ্যেই নেই তো? কী ভাবছেন, চিনি কিংবা অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় কিছু না খেলেই ওজন কমতে থাকবে? তবে এই ধারণায় একটু হলেও ভুল আছে।
Advertisment
সারাদিনে এক ফোঁটাও চিনি মুখে তোলেন না তবে অন্য এমন কিছু অবশ্যই খান যেটির কারণেই ওজন কমানো আপনার পক্ষে মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। সেই নির্দিষ্ট খাবারগুলি খাওয়া বন্ধ না করলে কিন্তু খুব বিপদ! বিশেষজ্ঞরা বলছেন চিনি একেবারেই খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়, কারণ বেশিরভাগ খাবারের মধ্যেই চিনি থাকে কিন্তু চাইলে এটিকে কম করা যায় এবং এর পরবর্তীতে যাই খাবেন একটু দেখে নেওয়া ভাল।
যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে তার মধ্যে ;
সারাদিনে কী পরিমাণে সুগার ইনটেক আপনার পক্ষে যাবে।
দ্রব্যের প্যাকেটের গায়ে ফুড কম্পোজিশন পড়ে নিন। কী মাত্রায় সুগার রয়েছে দেখে খাওয়াই ভাল।
বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন, এটি বেশি দরকারি।
প্রতি সপ্তাহে নতুন একটি করে চিনি জাতীয় খাবার কম করুন কিংবা দূরে সরান।
সোডা অথবা এই জাতীয় পানীয় যাতে অত্যধিক চিনি থাকে সেগুলি খাওয়া চলবে না।
এবার সেই খাবারগুলি খাওয়া বন্ধ করতে হবে যেগুলি অজান্তেই খেয়ে নিয়ে আপনি ভুল করে থাকেন :
জ্যাম কিংবা জেলি - এক চামচ জ্যাম অর্থাৎ ১২ গ্রাম সুগার। সবথেকে বড় কথা এটি যেহেতু প্রসেস করে বানানো তাই কার্ব বেশিই থাকে। এটি বন্ধ করতে হবে।
ইয়গার্ট - এক বাটি ইয়গার্ট অর্থাৎ ১৭ গ্রাম সুগার। দরকার পড়লে টক দই খান তবে এটি খাওয়া বন্ধ করুন।
বাদাম বাটার - এটি অনেকেই বেশ পছন্দ করেন, ভুল ধারণা এমনও আছে যে এটি সুগারের মাত্রা বাড়ায় না। দুই চামচ বাটার অর্থাৎ ৭ গ্রাম সুগার। তাই অনসল্টেড বাটার খান তবে এটি কমিয়ে দিন।
সস - এটির মাত্রা যত কম হয় ততই ভাল। কারণ এটি হজমের সমস্যা যেমন বাড়িয়ে তোলে তেমনই দু চামচ সস অর্থাৎ ৮ গ্রাম সুগার।
কফি - ক্যাফেইন ইনটেক এমনিও শরীরের পক্ষে খুব একটা ভাল নয়। কারণ এটি উত্তেজক পানীয় শরীরের সুগার তথা কার্ব মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। খেয়াল রাখতে হবে যেন এটির পরিমাণ না বাড়ে, বিশেষ করে একবার কফি খেলেই ১২-২৫ গ্রাম সুগার শরীরে প্রবেশ করে, সতর্ক থাকলেই ভাল।