যে হারে গরম বাড়ছে, আসলেই মুখে গোটা কিংবা ব্রণ দেখা দেওয়ার আদর্শ সময়। ঘাম জমে জমে ব্রণ দেখা দিতে পারে, আবার রোদের তাপেও দেখা দিতে পারে। যাইই হোক! ব্রণ দূর করতে কেউ বরফ ঘসেন তো কেউ শশা, আবার কেউ কেউ ওষুধ অথবা জেল ব্যাবহার করেন। তবে অনেকেই এমন আছেন বিশ্বাস করেন যে টুথপেস্ট ব্রণ কম করতে পারে! এটি আদৌ সঠিক?
ওয়েলেনস এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন টুথপেস্ট আদতে একটি ঠান্ডা জিনিস হলেও ব্রণর সমস্যায় এটি একেবারেই কাজ করে না। তার প্রথম এবং প্রধান কারণ, এটি হাজারো রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি যেগুলি মুখের জীবাণু মেরে ফেলতে সাহায্য করে। অনেক সময় দেখা যায়, যেহেতু ব্রণ অতিরিক্ত প্রদাহের ফলেই সৃষ্টি হয় তাই সেই বিষয়টিকে কম করতেই টুথপেস্ট ব্যবহার করা হয়। তবে এটি একেবারেই উচিত নয়, কেন?
টুথপেস্ট নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ স্কিনে লাগিয়ে রাখলেই বোঝা যায়, কিছুক্ষণ পরে স্কিনে টান ধরে এবং সেই জায়গা জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই শুষ্ক অনুভূত হয়। ফলতই ব্রণতে এটি যদি কেউ প্রয়োগ করে তবে ভেতর থেকে নির্মূল তো হবেই না বরং এটিকে আরও ক্ষতিগ্রস্থ করে তুলবে।
ব্রণ সমুলে বিনাশ করতে গেলে এর ব্যাকটেরিয়াকে মারতে হয়, তবে টুথপেস্ট কোনও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল নয় তাই সেটি এই কাজ করতে পারে না। জ্বলুনি পর্যন্ত কম করতে পারে না এটি।
অনেক সময় দেখা যায় মুখে কিংবা ব্রণতে টুথপেস্ট ব্যাবহার করলে, সেটি ডার্মাটাইটিসের সংস্পর্শে এসেই স্কিনের সমস্যা সৃষ্টি করে। সেটি ফাংগাল ইনফেকশন হোক অথবা রং পরিবর্তন তাই এই কাজ না করলেই ভাল। বিশেষ করে যাদের খুশকির সমস্যা আছে তাদের আরও বেশি করে সতর্ক থাকা উচিত।
এটি একরকম ত্বককে জ্বালিয়ে দিতে পারে। কারণ, এটির থেকে কেমিক্যাল বার্ন হতে পারে। বিশেষ করে খুব ভারী প্রজাতির পেস্ট থেকে ঠান্ডা লাগার কিছুক্ষণ পর জ্বলা অনুভূতি হয় তাই সাবধানে থাকুন।
স্কিনে চুলকানি এবং ফুলে যাওয়ার ভাব দেখা যায়। এগুলো আর কিছুই না রাসায়নিক বিক্রিয়া। সুতরাং যথেষ্ট সতর্ক থেকেই মুখে কিছু লাগাতে হয়।