ছোটদের নিজের পক্ষে এটি নির্ধারণ করা খুবই সমস্যাকর যে ওরা কী খাব আর কী নয়। যাই দেখে সেটিই টেস্ট করতে ওদের মন চায়। তারপরেও সবসময় সবকিছু ওদের একেবারেই খেতে দেওয়া যায়না। এবং তার প্রাথমিক কারণ হিসেবে বলা যায় ওদের পেটে সবকিছু সহ্য হয় না। অন্তত প্রথম একটা বছর ওদের বেশ কিছু জিনিস থেকে দূরে রাখাই উচিত।
বছর এক দুয়ের শিশুর খাবারের বিষয়ে সম্পূর্ণ ধ্যান থাকে মায়ের। তবে লোকের কথা শুনে অনেকেই ওদের অনেক কিছু খাওয়াতে বলেন, এবং আপনারা খাইয়েও থাকেন আদৌ এটি জানেনই না সেটি ওদের পক্ষে উপযোগী কিনা। তাই কিছু খাবার যদি আপনি ওদের দিয়ে থাকেন তারপরেও সেটি এখন থেকে বন্ধ করতে হবে।
প্রথম, মধু! শুনতে অবাক হলেও এটি আপনার শিশুর জন্য একেবারেই উপাদেয় নয় কারণ এতে নানা জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত থাকতে পারে। তাই সরাসরি মধু খাওয়ানো ওদের একেবারেই উচিত নয়।
দ্বিতীয়, হল গরুর দুধ। এটি ওদের পক্ষে হজম করা খুব কঠিন এবং সেই কারণেই ওদের গরুর দুধ একেবারেই দেবেন না। তার মধ্যে এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আইরন থাকে বলে শিশুদের স্টুলেও সমস্যা হয়। তাই পাউডার দুধ বিকল্প হিসেবে দিতে পারেন।
তৃতীয়, ডিমের কুসুম। গোটা ডিমের কুসুমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে হাই প্রোটিন থাকে। সঙ্গে এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম যেটি শিশুদের পাকস্থলীতে আঘাত করে ওদের হজম তো হয় নাই বরং, বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চতুর্থ, শসা! এমনিতেও রাতের বেলা চিকিৎসকরা বড়দের শসা খেতে না করেন আর শিশুদের পক্ষে শসা কিন্তু সঠিক নয়। এটি হজম হতে বেজায় কষ্ট এবং অম্বলের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ শিশুরাই বেশি দুধ খান তাই দুধের সঙ্গে মিশে এটি বিক্রিয়া ঘটাতে পারে।
পাঁচ, হল পাউরুটি। একেবারেই দেবেন না। এতে পুষ্টি একেবারেই নেই বরং ইস্ট এবং ফার্টিলাইজার পদ্ধতি এতে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে কারণেই শিশুদের একেবারেই দেবেন না।
ষষ্ঠ, স্মোকড বা গ্রিলড মাংস। সময় পেরিয়ে যায়নি। মাংস দিতে হলেও সেটি চিকেন খুবই সল্প পরিমাণে তাও সেদ্ধ হলে ভাল হয়। বাকি স্মোকড কিংবা টেস্ট বদলাতে গ্রিলড একেবারেই নয়। কেমিক্যাল এবং সোডিয়াম শরীর খারাপ করতে বাধ্য। তাই এগুলি দেবেন না।
ওদের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখার দায়িত্ব আপনার। সুস্থ রাখুন ওদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন