ছোটবেলা থেকেই প্রত্যেককে অভ্যাস করানো হয় ঘুম থেকে উঠেই দাঁত মাজা এবং পরিষ্কার রাখার। এর সঙ্গে দিনে ২/৩ বার দাঁত মাজলে একেবারেই যে কোনও ক্ষতি নেই সেই বিষয়েও জানানো হয়। তবে অনেকেই এমন আছেন যারা দাঁতের সঙ্গে অনায়াসে ঘষাঘষি, জোড়াজুড়ি করতে থাকেন। অনেকের আবার এমনও বিশ্বাস বেশি জোড়ে দাঁত মাজলে নাকি খুবই ভাল। এই বিষয়টি কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। তার কারণ হিসেবেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ।
Advertisment
ডক্টর পাবনি রেড্ডি বলেন, সারাদিনে দুইবার দাঁত মাজার পরেও এমন প্রচুর মানুষ আছেন যারা বলেই থাকেন, দাঁতে শিরশিরানি অনুভূত হচ্ছে, প্লাকের সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং দাঁত পরে যাওয়ার মত গুরুতর সমস্যাতেও ভুগছেন অনেকেই। এর প্রধান এবং প্রথম কারণ হিসেবেই তিনি উল্লেখ করেন, আপনার দাঁত মাজার পদ্ধতিতে গাফিলতি রয়েছে। আপনি যেভাবে দাঁত মাজেন সেই প্রক্রিয়াটি সঠিক নয়।
প্রথমেই তিনি বলেন, দাঁত মাজার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখা খুবই দরকার যার মধ্যে, অতিরিক্ত জোরে এবং দ্রুত গতিতে দাঁত না মাজা, প্রয়োজনের বেশি দাঁত না মাজা, এবং টুথব্রাশের অবস্থা যদি খারাপ হয়, তাহলে সেটিকে বদলানো এইবিষয়গুলির ক্ষেত্রে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
সঙ্গে আরও বলেন, কী হতে পারে এর ফলাফল! একেবারেই দাঁতের এনামেল অথবা গাম ক্রমশই ক্ষয়ে ক্ষয়ে দাঁতের ক্ষেত্রে সুরক্ষা কবচ কমিয়ে দিতে পারে। এবং এর অর্থই দাঁতের নরম অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা - সহজেই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। মুখে নানান ধরনের ক্ষতিকর আলসার এবং সেই থেকেই সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন রকম অ্যাসিড যুক্ত খাবার খেলে দাঁতে ছোপ থেকে শুরু করে, ক্রমশই ফাঁক হয়ে যাওয়া এইগুলি খুবই সাধারণ ব্যাপার।
আপনার যদি খাবার খেতে গিয়ে কষ্ট হয়। অতিরিক্ত ঠান্ডা, গরম এগুলো অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যথা, হালকা শিরশিরানি বুঝতে পারেন তখন থেকেই ধীরে ধীরে সতর্ক হন। অনেকসময় খেয়াল করবেন দাঁতের সঙ্গে সঙ্গেই ব্রাশ খুব অল্প সময়েই খারাপ হয়ে যায়, এটির মসৃণতা হারিয়ে যায়। তখনই জানবেন আপনার দাঁতের সঙ্গে অনিয়ম একটু বেশিই হচ্ছে।
যখনই সম্ভব হবে নির্ধারিত পেস্ট ছেড়ে অল্প পেয়ারা পাতা, নিম দাঁতন এগুলি ব্যবহার করা ভাল। দাঁতের সমস্যা দূর হবে, ভাল থাকবে, মুখে দুর্গন্ধ হবে না। দাঁত ঝকঝকে চকচকে রাখার অর্থ এর সঙ্গে অত্যাচার করা নয়, সঠিক ভাবে সারাদিনে অন্তত দুইবার, ১ থেকে ২ মিনিট সময় নিয়ে ধীরগতিতে দাঁত মাজলেই চলবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন