মানবদেহ মানেই তাতে বেশ কিছু স্বাভাবিক নিয়ম থাকতেই হবে। যদি সেগুলি সঠিকভাবে না হয় তাহলেই বরং বুঝতে হবে যে সমস্যা রয়েছে। এবং অনেকেই আছেন জোর করে এই সমস্যা গুলিকে নিজে থেকে আটকে রাখার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে হাই তোলা, কিংবা হাঁচি অনেকেই আবার মল মূত্র আটকে রাখতে পারেন, কিন্তু এগুলি আপনার পক্ষে কতটা ক্ষতিকর হতে পারে জানেন কী?
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ নীতিকা কোহলি বলছেন, অনেক সময় মানুষ সাধারণ হাঁচি কাশি কিংবা হাই তোলা আটকে রাখার সঙ্গে সঙ্গে ঢেঁকুর এবং ঘুমের মত সবথেকে প্রয়োজনীয় একটি বিষয়কেও জেদের কারণে কিংবা মানসিক সমস্যার কারণে আটকে রাখতে পারেন, যেটি একেবারেই ভাল নয়। অনেক সময় অভ্যাসের বশে আবার অনেকের ক্ষেত্রে না বুঝে শুনেই কিন্তু এই গোলমাল হতে পারে। কিন্তু এই সাধারণ স্বাভাবিক নিয়ম গুলোকে আটকে রাখলে কীভাবে সমস্যায় ভুগতে পারেন জানেন?
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের ভাষায় একে 'ভেগা' বলে অভিহিত করা হয়। আচার্য্য চড়ক যিনি আয়ুর্বেদিক ওষধির জনক হিসেবে পরিচিত, তার ব্যাখ্যা অনুসারে কম করে ১৩ ধরনের ভেগা রয়েছেন এবং একে জোর বশত আটকে রাখা উচিত নয়। বরং এটি করলে শরীরের দশায় ভয়ংকর বদল আসবে এবং সঠিকভাবে শরীরের তন্ত্র কাজ করবে না। কি ধরনের সমস্যা হতে পারে জেনে নিন......
হাই তোলা রোধ করলে শরীরে এক আলাদা রকম কম্পন অনুভূত হয়, এবং সেই কারণেই শরীরের অনেক অংশ স্বল্প সময়ের জন্য বেঁকে যায় যার থেকে ব্যথা কিংবা সৎকা খেলে সমস্যা হতে পারে।
যদি আপনি ইচ্ছেকৃত মূত্র রোধ করেন তাহলে কিন্তু অবধারিত কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে তলপেটে ব্যাথা, সঙ্গেই অ্যাবডোমেন অংশ ফুলে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে পারেন।
যদি আপনি অতিরিক্ত তৃষ্ণা না মিটিয়ে সেটিতে গাফিলতি করেন, তবে ডিহাইড্রেশন এর সঙ্গেই খিদে কমে যাওয়া, শুষ্কতা এগুলি দেখা যেতে পারে।
খিদে নিবারণ করা একেবারেই উচিত। কারণ সঠিক পরিমাণে না খেলে শরীর দূর্বল, গা হাত পা ব্যথা এমনকি ত্বকের রঙে পরিবর্তন আসতে পারে।
যদি হাঁচি আসে তবে একে লজ্জার কারণে একেবারেই আটকে রাখবেন না। এর কারণে ঘাড়ের কাছে এক ধরনের আটকে থাকার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং সেই থেকেই মাত্রা বেড়ে গেলে চোখে মুখে অন্ধকার দেখতে শুরু করতে পারেন। এবং এর কারণে অনেক সময় চোখে জল আসা খুব খারাপ, তাই এটিকে আটকে রাখবেন না।
মলত্যাগ আটকে রাখবেন না, এর থেকে ব্যথা, এমনকি পেশীর যন্ত্রণা তথা গা গোলানো এবং মাথা ব্যথার মত সমস্যাও হতে পারে।