মুখের স্কিন ভাল রাখতে গিয়ে আমরা কত কিছুই না করি। ঠিক এমনই হল নানা ধরনের ফেসপ্যাক কিংবা ঘরোয়া উপটান অথবা লোকমুখে শুনে নানান কিছু। এরমধ্যেই বেশ কিছু সামগ্রী যেগুলি একেবারেই আপনার ব্যবহার করা উচিত নয়, সেই সম্পর্কে ধারণা আছে?
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ বৈশালী বলছেন এমন কিছু কিছু উপটান আপনি ঘরেই বেশি ব্যবহার করেন যেগুলি না করলেই ভাল। হয়ত আপনি না জেনেই করেন, তার মধ্যে কয়েকটি হল ;
লেবু : ভিটামিন সি দ্বারা সমৃদ্ধ তারপরেও এটি দ্রাবক জাতীয়। এটি খাওয়া শরীরের পক্ষে স্কিনের পক্ষেও ভাল প্রমাণিত হতে পারে তবে, মুখে লাগান খুব ভুল একটু ধারণা।
টমেটো : অনেকেই ভাবেন এটি ব্লিচের মত কাজ করে। তবে এক্ষুনি এটিকে লাগান বন্ধ করুন। ত্বকে অ্যালার্জি কিংবা ফুসকুড়ি অথবা স্কিনের ন্যাচারাল বিউটি ধ্বংস করতে পারে।
বেকিং সোডা এবং কলগেট : অনেকেই ভাবেন এর থেকে স্কিনের পরিস্থিতি অনেক ভাল হয়। অনেকেই ভাবেন এটি স্ক্রাবের মত কাজ করে। তবে একেবারেই এটিকে ব্যবহার বন্ধ করুন, স্কিনের অবস্থা সাংঘাতিক খারাপ হয়ে যাবে।
হলুদ, বেসন এবং মুসুর ডাল : যদি প্যাকেট জাত হয় তবে একেবারেই নয়। যদি এমন কোনও অর্গানিক জায়গা থেকে এটি আনা হয় তবে অবশ্যই অল্প একটু বেটে নিয়ে ব্যবহার করতেই পারেন। তবে প্যাকেটজা তর মধ্যে প্রচুর কেমিক্যাল থাকে।
গাছপাতার মধ্যে মঞ্জিষ্ঠা সারিভা এবং যোস্থি মধু যদি ভরসা যোগ্য জায়গা থেকে পান তবেই এটিকে মুখে লাগান ভাল কাজে দেবে। নয়ত হীতে বিপরীত!
গরম একেবারেই নয়। শুধু মুখে নয়, সঙ্গে চুলেও। গরম জল স্কিন শুকিয়ে আরও খারাপ করে দেয়। যত্ত তৈলাক্ত ভাব থাকে এমনকি স্কিনের চকচকে ভাব নষ্ট করে দেয়।
মধু : যদি একেবারে গাছ থেকে প্রাপ্ত মধু হয় যেটাকে হানিকম্ব বলে সেটির ব্যবহার মুখের পক্ষে ভাল। আর যদি বাজার থেকে প্রাপ্ত কিংবা রাসায়নিক নির্মিত হয় তবে এটি আপনার কোনও কাজেই আসবে না।
অত্যাবশকীয় তৈল যেমন ল্যাভেন্ডার অয়েল, মিন্ট অয়েল এগুলি সরাসরি মুখে না লাগানোই ভাল। স্কিন সবসময় ভারী কিছু সহ্য করতে পারে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন