জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ ভাল। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় জল খেলে কিন্তু সেটি ক্ষতিও করতে পারে। প্রথম হার্টের ক্ষেত্রে, দ্বিতীয় কিডনির ক্ষেত্রে এবং অতিরিক্ত জল খাবার হজম হতে দেয় না। খাবার পেটের মধ্যেই ভাসতে থাকে। তাই জল প্রচুর মাত্রায় খেলেই যে ভাল, এটি কিন্তু এক্কেবারে ভুল।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রেখা রধামনি বলছেন অসময়ে জল এবং খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত জল আপনার পক্ষে খারাপ প্রমাণিত হতে পারে। জল পেটে অত্যধিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, এবং খাবার পরিপাক হতে দিতে চায় না। বলা উচিত, প্রদাহ কমিয়ে দেয় কিংবা শারীরিক বিপাকীয় আগুনকে ঠান্ডা করে দিতে পারে। তাহলে ঠিক কী পরিমাণে জল খাবেন?
আয়ুর্বেদের ভাষায়, আত্যমবুপানা কিংবা অত্যধিক জল খাওয়ার বিষয়কেই, হজমের গোলমালের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে। পরিমাণে দিকে নজর রাখতে হবে। তিন কিংবা চার লিটার জল সব ধরনের মানুষের পক্ষে একেবারেই সঠিক নয়, দেহ বুঝে তাতে রোগ এবং প্রতিক্রিয়া বুঝেই জলের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যারা প্রথম থেকেই হার্টের রোগী তাদের ক্ষেত্রে একই পরিমাণ জল খাওয়া সঠিক নয়।
প্রথম হল, অল্প অল্প করে জল খেতে হবে। কারণ একগ্রাসে ঢকঢক করে জল খেলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে সঙ্গেই আন্ত্রিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। খেয়াল রাখবেন তেষ্টা পেলেও একবারে গোটা বোতলের জল একদম নয়।
দ্বিতীয়, খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে উভয় ক্ষেত্রেই ৩০ মিনিটের ব্যবধানে জল খেতে হবে। নইলে বেশ মুশকিল!! ভাত্তা দশা যদি শরীরের সঙ্গে জুড়ে যায় তবে খুব সমস্যা।
তৃতীয়, উষ্ণ জল হজমের জন্য ভাল হতে পারে। কারণ এতে মাইক্রব ফোটানোর সময় উজ্জীবিত হতে পারে। সেটি বেশ কার্যকরী।
চতুর্থ, মনে রাখবেন যেকোনও ফল খাওয়ার সময় জল একেবারেই খাবেন না। এতে ফ্লুইড জলের সঙ্গে মিশে পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই ফল খেলে কম করে ২০ মিনিটের বিরতি নিন।
পঞ্চম, কফির সঙ্গে এক্কেবারে জল খাবেন না। ক্যাফেইনের সঙ্গে জল গ্রহণ করলে সেটি বিপাকে পরিণত হয়। তাই এটি একেবারেই চলবে না।
জল অবশ্যই খাবেন, তবে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে।