সমস্ত দোকানপাট ঘুরে ফেলেছেন নিশ্চয়ই। কেনাকাটায় গড়িয়াহাট, দক্ষিণাপন, হিন্দুস্থান পার্কের বুটিক, কিচ্ছু বাদ নেই। অথচ পুজোর ফ্যাশনে নিজেকে নজরকাড়া করে তোলার হিড়িক আপনার, আমার থাকেই। কিন্তু মানতেই হবে সেই ট্রেন্ডে আজও শাড়িই সেরা। পুজোর চারটে দিন শাড়িতে বঙ্গললনারা নিজেদের সাজিয়ে তুলবেন না, তা সম্ভব নয়। সে যতই হালফিলের ফ্যাশন বাজার মাত করুক। যদি কাজের চাপে শপিং না হয়ে থাকে তাহলে 'উইভার্স হাট' আপনার জন্য সঠিক জায়গা। যেখানে পেয়ে যাবেন ১,৫০০ থেকে হাজার চারেকের মধ্যে নজরকাড়া শাড়ি।
সপ্তমীর সকাল, পুজো সবে শুরু। সেদিন সাবেকিয়ানা ও ফ্যাশনের মেলবন্ধন সম্ভব হ্যান্ডলুমে। তাই উইভার্স হাটের এই ব্ল্যাক ফ্যাব্রিকের ওপর কটন সিল্ক। ছবি: শশী ঘোষ
অষ্টমী মানেই সাবেকিয়ানা, আর লালের ছোঁয়া থাকতেই হবে। ট্র্যাডিশনাল জামদানী মোটিফের ওপর এই ধরনের শাড়ি থাকলে জমে যাবে আপনার অষ্টমীর সকাল থেকে সন্ধে। ছবি: শশী ঘোষ
পুজোর চারটে দিন তোলা থাকে দেদার আনন্দের জন্য। আড্ডাই তো বাঙালির পরিচয় বহন করছে যুগ যুগ ধরে। ছবি: শশী ঘোষ
এই শাড়িটি পছন্দ হলে সরাসরি চলে যান উইভার্স হাটের ফেসবুক পেজে। সেখানেই মনমত শাড়ি পছন্দ করে অর্ডার দিতে পারবেন
আপনি।
নবমী, পুজোর প্রায় শেষ লগ্নে পৌঁছে একটা হাতে বোনা রেশম সিল্ক শিবোরি, সঙ্গে জামদানী বুটি তো পরাই যায়। তার ওপরে যদি ডিজাইনটা আপনার মনের মতো হয়। ছবি: শশী ঘোষ
উপচে পড়া ভীড়, বিজ্ঞাপনি চমক, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইটেই কাটবে সপ্তমী থেকে দশমী। ছবি: শশী ঘোষ
দশমীতে চিরাচরিত ট্রেন্ড লাল কিছু পরে সিঁদুর খেলায় মাতার। একটু ট্রাডিশনটা ব্রেক করুন না। হ্যান্ডলুম কটনে এধরনের কিছু কিন্তু ট্রাই করা যায়। ছবি: শশী ঘোষ
২০১৪ থেকে এই কাজের ভাবনা অর্পিতা বসুর ও ইন্দ্রানীর। তাঁর কথায়, "সবাই তো হ্যান্ডলুম বুটিক তৈরি করে। আমার চেষ্টাটা হ্যান্ডলুমকে প্রোমোট করার। শুধুমাত্র তাঁতিদের থেকে জিনিস কিনে এনে বিক্রি করা নয়, সাবেকী ডিজাইনের সঙ্গে কনটেম্পোরারি ফ্যাশনকে মিলিয়ে দেওয়ার প্রয়াস।" নিজেরা ডিজাইন তৈরি করে মহিলা তাঁতিদের দিয়েই শাড়ি বোনান অর্পিতা। কারণটা মেয়েদের স্বাবলম্বী করা। শুধু তাঁতিরা নয় উইভার্স হাটে কর্মরত প্রত্যেকে মহিলা। তাঁতিদের থেকে সরাসরি জিনিস এনে মানুষকে দেওয়ার চেষ্টা করে 'উইভার্স হাট'। হ্যান্ডলুম মানেই বিশাল খরচের বিষয়, এই ধারণাও ভাঙতে চান তিনি।