আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, পুজোয় আড্ডা আর শপিং যখন ভার্চুয়ালি হচ্ছে তখন ভোগ কেন নয়? কি অবাক হচ্ছেন? এবার আপনাদের উদ্দেশ্যে এক নিদারুণ অভিনব আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছে Yotto! পুজো প্যান্ডেল থেকে সরাসরি মায়ের প্রসাদ পৌঁছে যাবে আপনার বাড়িতে।
Advertisment
শুধু কলকাতা? এক্কেবারেই না! উত্তরবঙ্গ হোক কিংবা ক্যানিং, হুগলি হোক কিংবা সুদূর উত্তর-পূর্ব ভারতে আপনাদের পুজোয় মন ভাল রাখতে একেবারেই ওরা প্রস্তুত। এবং এর সঙ্গেও বেশ প্রশংসাযোগ্য একটি মানবিক কাজ করার চিন্তাভাবনায় yotto। সাধারণ মানুষের মধ্যেও নানান হাসপাতালের ক্যানসার রোগীদের এবং বৃদ্ধাশ্রম সঙ্গে অনাথ আশ্রমেও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভোগ খাওয়ানোর এই অভিনব উদ্যোগ বেশ নজর কাড়ার মতো।
yotto'র বিসনেজ হেড তমাল কান্তি রায়ের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর কিন্তু পরিষ্কার। তিনি বলেন, "নির্দিষ্ট কিছু পুজো কমিটি এমনকি সংস্থা যেমন ব্যারকপুর মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ থেকে প্রসাদ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বিতরণ করা হবে।" আগের বছর থেকেই এই উদ্যোগ কার্যকর করেছিলেন তাঁরা তবে এবারের পরিসর আরও বড়। কথা বলেছেন, বেশ কিছু বৃদ্ধাশ্রমের সঙ্গে অনেকেই তাঁদের এই উদ্যোগে শামিল হতে রাজি।
হঠাৎ কেনই বা এমন পরিকল্পনা তাদের? এই প্রসঙ্গে কিন্তু দারুন একটি মানবিক ধারণা মিলেছে তাঁর তরফ থেকে। তাঁর বক্তব্য, "আমাদের চারপাশের যতরকম মুদির দোকান থেকে ফল সবজি বাজার হোক কিংবা পাড়ার মোড়ের ছোট্ট ফুলের দোকান, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অনলাইন ব্যবসার আড়ালে তাঁদের কিন্তু নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বড় বড় শপিং মল থেকে জিনিস কেনার ইচ্ছে তাদের রুজি রোজগার বাধা দিচ্ছে। Yotto' এমনিই একটি প্ল্যাটফর্ম যারা আপনার এলাকার মানুষের সঙ্গে সেখানকার ব্যবসায়ীদের জুড়তে সাহায্য করবে। কারণ সময় অসময়ে রাত বিরেতে আপনার পাড়ার দোকানটি আপনাকে বাঁচায়। তাই তাঁদের পাশে থাকতে তো একেবারেই অসুবিধে নেই তাই নয় কি!" এই টুকু বার্তা জানানোর উদ্দেশ্যেই মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে চান তারা।
কলকাতায় বসে দূরে দূরে কাজ করাও নিতান্তই সাধারণ বিষয় নয়। তবে কথায় বলে না সকলেরই এদিক ওদিক হাতা খুন্তি কিন্তু ছড়িয়েই থাকে। এদেরও ব্যতিক্রম নয়! জেলায় জেলায় yotto'র নানান মেম্বাররা ছড়িয়ে আছে এবং তাঁরাই কাজ করবে আপনাদের সহায়তায়।
সত্যিই তো, পুজো মানেই আনন্দ আর একাকীত্ব ছেড়ে সবার সঙ্গে মিশে যাওয়ার উৎসব! পুজোয় এরকম সুন্দর অভিনব কর্মসূচি অনেক মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে যেমন তুলবে তেমনই বন্ধন আরও গাঢ় হবে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন