Advertisment

রুকমা দাক্ষীর রান্না বিলাস: পুজোর সকালে সাবেকী জলখাবারের হদিশ

আসন্ন উৎসবের দিনগুলি ভালো কাটুক সকলের। এই দিনগুলিতে যাতে আপনি চটপট করে রেস্তোরাঁর রান্না বানিয়ে ফেলতে পারেন বাড়িতেই এবং খুব সহজেই, আমি সেটারই হদিশ দিতে চাই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mutton keema cutlet recipe

মটন কিমা কাটলেট। প্রতীকী ছবি

প্রাণের দ্বারে এসে দাঁড়িয়েছেন অতিথি। আসছে উৎসবের দিন - দুদিন বাদেই অতিথিবরণ। সব প্রস্তুতির শেষ - মা আসছেন। চারদিকে বেজে উঠেছে আনন্দগান। বাঙালির কাছে শারদোৎসব মানেই আনন্দের নতুন বার্তা। এই সময় সকলেই মেতে উঠেছেন প্রাণের উৎসবে। আসন্ন উৎসবের দিনগুলি ভালো কাটুক সকলের। এই দিনগুলিতে যাতে আপনি চটপট করে রেস্তোরাঁর রান্না বানিয়ে ফেলতে পারেন বাড়িতেই এবং খুব সহজেই, আমি সেটারই হদিশ দিতে চাই। উপকরণের সঙ্গে তেল-মশলার যথাযথ মেলবন্ধন হলো গিয়ে ভালো রান্নার মূল কথা। সঙ্গে অবশ্যই থাকতে হবে ভালো রাঁধার ইচ্ছে এবং ভালোবাসার ছোঁয়া। আজ আপনাদের জন্য দুটি সাবেকী জলখাবারের রেসিপি রইল।

Advertisment

মটন কিমা কাটলেট

উপকরণ:

কিমা - ৩০০ গ্রাম
পেঁয়াজ (মিহি করে কুচনো) - ২টি পেঁয়াজ
রসুন কুচি - ১ টেবিলচামচ
কাঁচালঙ্কা কুচি - ২ চা-চামচ
ডিম - ২টি
পাঁউরুটির স্লাইস - ৩টে (ধার বাদ দিয়ে)
নুন - স্বাদমতো
পার্সলে কুচি - ২ টেবিলচামচ
ভিনিগার - ২ চা-চামচ
ভাজবার জন্য় সাদা তেল
বিস্কুট গুঁড়ো - ৫০০ গ্রাম

প্রণালী: কিমা নুন ও ভিনিগার দিয়ে প্রেশারে রান্না করে ভালো করে জল ঝরিয়ে নিন। একটা ডিম ভালো করে নুন দিয়ে ফেটিয়ে রাখুন। এইবার অন্য় ডিম ও বাকি সব উপকরণ (তেল ও বিস্কুট গুঁড়ো বাদে) সেদ্ধ কিমার সঙ্গে মেখে নিয়ে ১ ঘণ্টা ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। মাখাটা বেশ মজে গেলে হাতের তালুতে তেল মাখিয়ে, মণ্ড থেকে খানিকটা কিমা নিয়ে কাটলেটের আকারে গড়ে নিন। এবার তৈরি করে রাখা কাটলেটগুলো একটা একটা করে নিয়ে সাবধানে ডিমের গোলায় চুবিয়ে, বিস্কুটের গুঁড়ো লাগিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করুন। ডুবো তেলে মটন কাটলেট ভেজে তুলুন। সস অথবা কাসুন্দি সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন চায়ের সঙ্গে।

fish kachori recipe মাছের কচুরি। প্রতীকী ছবি

মাছের কচুরি

উপকরণ:

পুরের জন্য-

সেদ্ধ করে কাঁটা ছাড়ানো কাতলা মাছ - ১ কাপ
পেঁয়াজ কুচি - ২টি পেঁয়াজ
রসুন বাটা - ১ টেবিলচামচ
আদাবাটা- - ৩ চা-চামচ
গরমমশলা গুঁড়ো - ১ চা-চামচ
কাঁচালঙ্কা কুচি - ১ টেবিলচামচ
নুন - স্বাদমতো
চিনি - ১ চা-চামচ
কিসমিস - ২০টা
ধনেপাতা কুচি - ৪ টেবিলচামচ
আধভাঙা গোলমরিচ গুঁড়ো - ১ চা-চামচ

কচুরির জন্য-

ময়দা - ৩০০ গ্রাম
ঘি - ৫০ গ্রাম
নুন
ভাজবার জন্য় সাদা তেল

প্রণালী: ময়দা, ঘি, নুন ও পরিমাণ মতো জল দিয়ে ভালো করে মেখে ঢাকা দিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার পুর তৈরি হবে। কড়াইতে অল্প তেল গরম করুন। তাতে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন দিয়ে হাল্কা করে ভাজুন। অল্প রং ধরলে সেদ্ধ মাছ ও বাকি সব উপকরণ দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না বেশ ঝুরো ঝুরো হয়। বেশ ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে নিন।

ময়দা থেকে ১২টা লেচি কাটুন ও লুচির মতো পাতলা করে বেলে নিন। পুরটা ছয় ভাগে ভাগ করে ৬টা লুচির উপর বেশ ভালোভাবে দিয়ে দিন। অন্য ৬টা লুচি দিয়ে পুর ঢাকা দিন। লুচির সাইডে জল লাগিয়ে দুটো লুচি ভালোভাবে আটকে দিন। কচুরির ধারগুলো বিনুনির মতো সুন্দর করে মুড়ে দিন। কড়াইতে তেল গরম করুন। ডুবো তেলে মাঝারি আঁচে সোনালি করে ভেজে তুলুন মাছের কচুরি। সকলের মন জয় করবে এই রেসিপি, সেটুকু বলতে পারি।

food Durga Puja 2019
Advertisment