হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরই বেজে উঠবে ঢাকের বাদ্যি। শুরু হয়ে যাবে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। অনেকে ইতিমধ্যেই পুজোর কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন। বহু বাঙালি রয়েছেন, যাঁরা পুজোর সময়টায় কোথাও ঘুরতে যান। তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই।
আগেই পুজো কমিটিগুলো খুঁটিপুজো রেওয়াজমতো সেরে ফেলেছে। এবছর পুজো একটু আগে, অক্টোবরের গোড়ায়। হাতে বেশি সময় না-থাকায়, প্যান্ডেল বানানোর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপগুলোয়। তার জন্য বাঁশও চলে এসেছে।
মহালয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় নবরাত্রি পালন। এবছর মহালয়া পড়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ, রবিবার। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৮ আশ্বিন। আর, এবছর দুর্গাষষ্ঠী ১৪ আশ্বিন, ১ অক্টোবর, শনিবার। ওই সন্ধ্যায় দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। রাত্রি ৮টা ৩৭ পর্যন্ত ষষ্ঠী থাকছে।
এবার দেবী আসছেন গজে। যার ফল হল শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা। পরদিন ১৫ আশ্বিন, ২ অক্টোবর, সপ্তমী। নবপত্রিকা স্নান, দুর্গাপুজোর ঘটস্থাপন, সপ্তমীবিহিত পূজা। সপ্তমী থাকবে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ অবধি। ৩ অক্টোবর, ১৬ আশ্বিন, সোমবার মহাষ্টমী। সকাল ৯টা ২৯-র মধ্যে বীরাষ্টমী পালন ও মহাষ্টমীর উপবাস। বিকেল ৪টা পর্যন্ত থাকছে মহাষ্টমী। সন্ধিপূজা শুরু দুপুর ৩টা ৩৬ নাগাদ। এই সময় দেবী কালিকা এবং মহিষমর্দ্দিনী দেবীর আবির্ভাব। সন্ধিপূজা শেষ বিকেল ৪টা ২৪ এর মধ্যে।
আরও পড়ুন- দুর্নীতির আশঙ্কা, তারাপীঠে নিষিদ্ধ হল অনলাইন পুজো
মহানবমী মঙ্গলবার। মহানবমী থাকবে দুপুর ১টা ৩৪ পর্যন্ত। সকাল ৮টা ২৮-এর মধ্যে বীরাষ্টমী ও মহাষ্টমী ব্রতের পারণ শেষ হবে। মহানবমীবিহিত পূজা এবং দেবীর নবরাত্রিক ব্রত সমাপ্ত হবে ওই দিন। ৫ অক্টোবর দশমী। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও বিসর্জন। তার পর অপরাজিতা পূজা। এবার দেবীর নৌকোয় গমন। যার ফলে প্লাবনের আশঙ্কা।
তবে, পঞ্জিকাভেদে সময়ের পার্থক্য ঘটে। কোনও জায়গায় দিকসিদ্ধান্ত আবার কোনও জায়গায় বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মানা হয়। সন্ন্যাসীরা মূলত বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মেনে চলেন। সেই কারণে বেলুড় মঠ-সহ বিশেষ করে বিভিন্ন আশ্রমের পুজোয় এই সূচির সঙ্গে সময়ের সামান্য হেরফের ঘটবে।