Advertisment

ওমিক্রন থেকেই পাওয়া যাবে আজীবন ইমিউনিটি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

আদৌ সম্ভব এটি? জানুন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

Omicron and immunity: চারিদিকে করোনা ভাইরাসের সঙ্গেই কিন্তু ওমিক্রন সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। এবং তার সঙ্গেই নতুন নতুন উপসর্গ তথা শরীরের হাল সম্পর্কে যথেষ্ট চিন্তিত চিকিৎসকরা। মৃদু উপসর্গ হলেও ক্রমেই এটি নিজের মত করেই ছড়িয়ে পড়ছে। এবং সব বয়েসের মানুষই কিন্তু এর সঙ্গে আক্রান্ত হচ্ছে। এটিকে কনসার্ন ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও, এর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি! পরবর্তীতে কী ক্ষতি করতে পারে সেই নিয়ে এখনও ধারণা নেই। 

Advertisment

তবে ওমিক্রন থেকেই কী মানুষ পেতে পারেন সর্বোচ্চ ইমিউনিটি? এই নিয়ে অবশ্য চিন্তা কম নয়। বেশ কিছু চিকিৎসকদের মতে অবশ্যই এর থেকে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি এবং ইমিউনিটি তৈরি হতে পারে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন এটির থেকে বেশ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অথবা বলা উচিত সারাজীবনের জন্যও মানুষ ইমিউনিটি পেতে পারেন! যদিওবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল এত সহজেই মানুষ এর থেকে ছাড়া পাবেন না, এখনও ওমিক্রন সম্পর্কিত অনেক তথ্য অজানা। এর আফটার ইফেক্ট কী হতে পারে সেই নিয়েও থাকছে সন্দেহ। 

এই প্রসঙ্গে সত্যতা কী? 

গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, কোভিড থেকে আক্রান্ত হলেও মানুষের শরীরে ভাইরাসের বিপরীতে লড়ার ক্ষমতা ক্রমশ বাড়তেই থাকে। এবং তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন এর থেকে পরবর্তীতে বেশ কিছু সময়ের জন্য এর থেকে সংক্রমণের সুযোগ থাকে না। কিন্তু ছয়মাস যাওয়ার পরই মানুষকে ফের সংক্রমিত হতে দেখা গেছে। তাহলে? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া মানবদেহে দেখা যায়। একটি সহজাত ইমিউন এবং দ্বিতীয়টি অভিযোজিত ইমিউন। সহজাত ইমিউন হল, আগে থেকেই যে বিষয়টি শরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। অর্থাৎ ভাইরাসের সংস্পর্শে এলেই কোষকে ইঙ্গিত দিতে পারে এবং ভাইরাসকে আক্রমণ করতে বাধা দেয়। আর অভিযোজিত ইমিউন হল, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া স্বরূপ। অর্থাৎ, যখন একটি ইমিউন ভাইরাসের সেই রূপকে চিনতে পারে না, এবং কোষকে সতর্ক করতে পারে না। সাধারণত এই ক্ষেত্রে টি কোষ একং বি কোষ এই দুটিই অংশগ্রহণ করে। যতক্ষণ না পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও প্যথ জেনের সংস্পর্শে না আসে ততদিন পর্যন্ত এটি সুপ্ত থাকে, পরবর্তীতে যখন ভাইরাসের আদ্যোপান্ত বুঝে নিয়ে থাকে, তখন শুধু দীর্ঘমেয়াদি নয়, শক্তিশালী সুরক্ষা দেয়। 

ওমিক্রন থেকে কী সত্যিই এমন কিছু সম্ভব? 

এক একটি ভাইরাসের একেকরকম প্রতিক্রিয়া। ডেল্টার থেকে ওমিক্রন আলাদা। এবং এর মধ্যে মিউটেশন এতই বেশি, যে তার সঙ্গে যুক্ত স্পাইক প্রোটিন মানুষের শরীরে অভ্যন্তরীণ অনেক পরিবর্তন ঘটাতে পারে। সেই কারণেই ভ্যাকসিন দিলেও এর থেকে রেহাই মেলে না। বরং ভ্যাকসিনের প্ররোচনার সুযোগ নিয়েই, এটি শরীরে রোগের বিরুদ্ধে অনাক্রমতা এড়াতে পারে। এতে করেই শরীরে ইমিউনিটি বাড়তে পারে বলেই জানিয়েছেন তারা। 

WHO এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এর মধ্যে ৪ গুণ সংক্রমণের ক্ষমতা বেশি রয়েছে। সুতরাং সেই বিষয়ে একটু ধ্যান দেওয়া দরকার। আর মৃদু উপসর্গের বাহক, এই ভ্যারিয়েন্ট যথেষ্ট প্রোটিন এবং অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর থেকে বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে অনেক ইমিউনিটি পাওয়া সম্ভব। এটি অপ্রতিরোধ্য এবং বুস্টার থাকলেও সংক্রমিত করতেও পারে। পরবর্তীতে এমনও হতে পারে যে এটি একটি স্থানীয় রোগে পরিণত হয়। সতর্কতা থাকলেও মানুষের জীবনে এটি এমন একটি সুপার ভ্যারিয়েন্ট যেটা অনাক্রমতার সম্ভাবনাকে সীমাবদ্ধ করতেই পারে। তার অর্থ কী সকলের সংক্রমিত হওয়া ভাল? 

একজন চিকিৎসকের দাবি, একেবারেই না! অন্তত ভারতবর্ষের বুকে না! যেখানে দাঁড়িয়ে মানুষের পুষ্টির অভাব, ডায়াবেটিস, প্রেসার এবং আরও হাজার রকম রোগ সেই পর্যায়ে একেবারেই গোষ্ঠী সংক্রমণ এবং এ জাতীয় সমস্যা হলে পরবর্তী পর্যায়ের ইমিউনিটি নয়, বরং তার আগেই সমস্যা সাংঘাতিক রূপ দেখাবে। 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

immunity Omicron Infection virus covid19
Advertisment