সকাল থেকে উঠেই দৌড়ঝাঁপ তারপরে বাড়ি বসে কাজের হিরিক। আর সেই সঙ্গে সময়ের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বিশ্রামের মাত্রা একেবারেই কমে গেছে। এখন বেশিরভাগ মানুষের রাত করে জেগে থাকা অভ্যাস ফলত সকালের দিকে ঘুম না ভাঙলেও উপায় নেই! কাজের সুত্রে ঘুম ভেঙে উঠতে হবেই।
অনেকেই মনে করেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর পরেও কীভাবে দুপুর গড়াতেই ফের চোখ আটকে আসে। এতে শুধু প্রতিদিনের রুটিন নয়, কথায় বলে বাঙালিদের দুপুরে খেয়েদেয়ে একটু ভাতঘুম না হলে একেবারেই চলে না। তবে এর থেকে বেরোনোর উপায় অবশ্যই আছে। যেমন প্রথমেই জানতে হবে ঠিক কী কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুম পাচ্ছে!
• পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব! অর্থাৎ আদৌ সঠিক সময় আপনি ঘুমাচ্ছেন কিনা সেটি ভাবনা চিন্তা করুন। দরকার পড়লে আরও কিছু সময় বেশি বিশ্রাম নিন।
• কফি কিংবা চা বেশি খান? এটি কিন্তু সহজেই ঘুম আপনার ঘাড়ের কাছে এনে দেবে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন কিন্তু নার্ভকে দুর্বল করে তোলে এবং আপনার সহজেই ঘুম আসে।
• দুপুরের খাবার সঠিক সময় এবং পরিমাণে খান? বেশি পরিমাণে লাঞ্চ কিন্তু পেট ভর্তি করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে একরকম বিরাম ভাবের সৃষ্টি করে তাই এর থেকে ভীষণ ঘুম আসা স্বাভাবিক।
তবে এই সমস্যার থেকে দূরীকরণ কীভাবে সম্ভব?
• রাতের বেলা সময়ের বেশ আগেই ঘুমাতে যান। এবং ঘরে একদম হালকা আলো জ্বালিয়ে রাখুন। সঙ্গে বই রাখতে পারেন তবে ঘুম তাড়াতাড়ি আসবে।
• সকালে উঠেই কঠোর শরীরচর্চা করবেন না। যোগা কিংবা প্রাণায়াম অভ্যাস করুন। এতে শরীরে ক্লান্তি খুব কম আসে এবং মন উৎফুল্ল থাকে।
• দুপুরের খাবার একটু আগে খান। অন্তত বেলা ১২ টা! তাহলেই আপনার শারীরিক ক্লান্তি ধীরে ধীরে কমতে থাকবে । এবং ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিন। সঙ্গে পেঁয়াজ এবং শসা খান। এনার্জি থাকবে।
• প্রতিদিন দুপুর ২:৩০ টে নাগাদ যে ফলটি আপনি পছন্দ করেন সেটি খান। আমলকী এবং পেয়া রা হলে সবথেকে ভাল তবে নিজের খুশিমত খান।
আরও পড়ুন < পিসিওএস আছে আপনার? তবে বদল আনুন অভ্যাসে >
• এক কাপ কড়া করে আদা এবং এলাচের চা হলে কিন্তু মন্দ নয়! ৪ টে বাজলেই এটি নিয়ম করে কিন্তু খেতে ভুলবেন না।
• একই জায়গায় বসে কাজ করবেন না। বরং মাঝে মধ্যে উঠে জায়গা পরিবর্তন করুন। এদিক ওদিক হেঁটে ঘুরে আসুন।
• রিদমিক মিউজিক চালিয়ে রাখবেন। স্লো গান একেবারেই না। ঘরে মুড যেন ভাল থাকে। আমেজ যেন উত্তেজনা পূর্ণ হয়।
• যে জায়গায় বসে কাজ করেন, একটু বেশিই আলোকিত রাখুন। যাতে আলোর প্রভাবে ঘুম না আসে।
• মাঝে মাঝেই উঠে চোখে মুখে জল দিন। হালকা কোনও পানীয় খান অথবা প্রকৃতির দিকে তাকান।
কাজের ফাঁকে ঘুম কিন্তু এড়াতেই হবে!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন