শীত পেরিয়ে চারিপাশ বলছে বসন্তের আবহাওয়া। আর এই সময় শরীর খারাপ হওয়ার এক আদর্শ সময়। সূর্যের রশ্মির তীক্ষ্ণতা ক্রমশই বাড়ছে, শুষ্কতা এবং রুক্ষতার সঙ্গেই হালকা ঘাম…জল বসন্ত থেকে শরীরের দশা জনিত অনেক রকম পরিবর্তন দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। এইসময় নিজেকে সুস্থ রাখতে আসলেই কী করবেন? ধারনা দিচ্ছেন, চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ ঐশ্বর্য সন্তোষ।
Advertisment
তিনি বলছেন, বিশেষ করে এই সময় পৃথিবীর সঙ্গেই মানবদেহের শক্তি একটু কমই থাকে। শীতের সময় কাফা দশা বেশ উন্নত থাকলেও বসন্তে এটিও তরল পর্যায়ে পৌছায়। সূর্য যত প্রখর হতে থাকে, স্কিনের সমস্যা তত বাড়তে থাকে, এবং সেই থেকেই শরীরের ভেতরের বালা দশা তথা শক্তি কমতে থাকে। হ্রাস পায় ইমিউনি টি। বারবার বলা হয় সজনে ফুল থেকে শুরু করেই ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খাওয়ার। তাই সুস্থ থাকার উপায়গুলি, অর্থাৎ কাফা দশা উচ্চ অবস্থায় রাখতেই হবে। এবং তার জন্য যে কাজগুলি করবেন ;
ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চা বসন্তের সময়ে বেশ দরকারি। কারণ, ব্যায়াম দৈহিক কাফা দশাকে ব্যালেন্স রাখতে সাহায্য করে। শরীরের হজম ক্ষমতা বাড়ায়। পাকস্থলী সংক্রান্ত অগ্নি বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাচনের সমস্যা দূর করে।
আদা চা, অনেকেই মনে করেন শীতকালের জন্য বেশি উপকারী তবে এটির গুণাবলী বসন্তের আশেপাশেও বেশ কাজে লাগে। আদা বাহ্যিকভাবে শুষ্ক, কিন্তু প্রকৃতিতে বেশ গরম- দৈহিক কাফা দশা ভাল রাখতে সাহায্য করে। এটি পান করা ভাল প্রমাণিত হতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতেই হবে। বেশি দেরি করলে চলবে না। কারণ সূর্যোদয়ের সঙ্গে উঠলেই দৈহিক কাফার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ঘুমানোর সঙ্গে কাফার সম্পর্ক বেশ গভীর। তাই সূর্যের সঙ্গে সঙ্গে উঠলেই কাফা বাড়তে থাকে।
শুকনো ম্যাসাজ, এইসময় বেশ ভাল প্রমাণিত হতে পারে। অর্থাৎ তেল ছাড়াই পাউডার দিয়ে শুকনো ম্যাসাজ বেশ কাজে দেবে। সারা শরীরে সমানভাবে এটি কাফার মাত্রা ছড়িয়ে দিতে পারে। যেমন কুলাথা চূর্ণ, এটি বেশ কার্যকরী।
বদল আনতে হবে ডায়েটেঃ- খেতে হব গরম বাড়ির তৈরি খাবার, বাসি খাবার খেলে একদম চলবে না। ভারী, ঠাণ্ডা, এবং অত্যধিক মিষ্টি তথা টক জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিন। সোডা এবং বিভারেজ জাতীয় পানীয় একদম চলবে না। তেঁতো খেতে শুরু করুন। সারাদিনে একটা কাঁচা লঙ্কা খেতে পারেন।
দিনের বেলায় ঘুমের মাত্রা কম করতে হবে, এতে ভাতা-দশা বেড়ে গেলে বেশ মুশকিল।
নিজেকে সুস্থ রাখতে গেলে ভামানা অর্থাৎ বেশ কিছু টোটকা যেমন হলুদ জলে স্নান, আচার কম খাওয়া এমনকি প্রচণ্ড গরম জলে স্নান করা বিশেষ করে সেই জল মাথায় ঢালা একেবারেই ঠিক নয়… এটুকু মানলেই হবে।