Advertisment

অল্প বয়সের মাইগ্রেন কীভাবে সারিয়ে তুলবেন তাও ওষুধ ছাড়া! জানুন

এভাবেও মাইগ্রেন কমানো যায়, জেনে নিন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

শরীরে বাতের ব্যাথা হোক কিংবা অন্য কিছু, সেটি কিন্তু বেশ কষ্টদায়ক! তেমনই আরেকটি হল মাইগ্রেন… অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েদের কাছে এটি কিন্তু খুব সমস্যার। তার কারণ অনেক সময় ধরে কম্পিউটার হোক অথবা পড়াশোনা মাইগ্রেন বেশ সমস্যার। এর থেকে রেহাই পেতে অনেকেই আছেন হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেতে শুরু করেন, তবে রেহাই মেলে না সহজে এবং একেবারেই সাময়িক শান্তি, ব্যাথা কিন্তু ফিরতে পারে। এবং এতে ব্যাঘাত ঘটে অনেক কিছুর, মন বসানো যায় না কাজে। কীভাবে একে সমুলে বিনাশ করা যায় তার ধারণা দিয়েছেন, চিকিৎসক ভারালক্ষি ইয়ামারেন্দ্রা।

Advertisment

তিনি বলছেন, ওষুধ ছাড়াও একে নির্মূল করা যায়, প্রাকৃতিক উপায়ে। বিশেষ করে বছর কুড়ির ছেলে মেয়দের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এবং সাময়িক আরাম পেতে বাম কিংবা ওষুধের ব্যাবহারের পরেও খামতি জেন থেকেই যায়। সেটিকে একমাত্র ঠিক করা যায় প্রাকৃতিক উপায়ে, অর্থাৎ আয়ুর্বেদিক উপায় তো রয়েছেই সঙ্গেই বদল আনতে হবে নিজস্ব জীবন যাত্রায়। তাহলে অনেকটাই সমস্যা মিটবে। বলা উচিত সম্পূর্ণ আয়ুর্বেদিক পথে এর থেকে পিছুটান ছাড়ানো সম্ভব। হয়ত হাতে গুনে একমাস, তারপরেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন সকলে…

সঙ্গেই আশ্বাস দিয়েছেন যে, একেবারেই আর্থিক সংকট হবে না, বেশি ব্যায়ের কোনও প্রশ্ন নেই তবে অনেকটা ভাল থাকতে শুরু করবেন। কীভাবে?

প্রথম, রাতের বেলা দই খাওয়া একদম বন্ধ করা উচিত। চেষ্টা করবেন যেন টক জাতীয় কিছুই না খান।

দ্বিতীয়, অনেকেই আছেন রাত হলে গরম জল অথবা ভীষণ মাত্রায় আদা দিয়ে চা খেতে পছন্দ করেন। এটি একদম বন্ধ করা উচিত…কারণ রাতের বেলা শরীরের প্রদাহ মাত্রা বেড়ে গেলে খুব মুশকিল, ব্যাথা বাড়তে পারে।

তৃতীয়, খাবারের বেশ কিছু বদল আনা খুব দরকার, যেমন অত্যধিক কার্ব তথা মিষ্টি জাতীয় খাবার একদম চলবে না। এতে শরীরের ইনসুলিন মাত্রা বেড়ে গেলে বিপদ।

চতুর্থ, ধূমপান এবং মদ্যপান সঙ্গেই সোডা জাতীয় পানীয় বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

পঞ্চম, অভ্যাস করতে হবে বেশ কিছু ব্যায়াম। যেমন নাস্যা, ভ্রামারি এবং অনুলোম বিলম এগুলি মাইগ্রেনের ব্যাথায় ভাল কাজ দেবে। প্রতিদিনের অভ্যাস বহাল রাখতে হবে, নইলে কাজে দেবে না। একদম অল্প সময় অর্থাৎ ৩০ মিনিটেই অনেক সুরাহা।

ষষ্ঠ, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ঠাণ্ডা জল হাতে নিয়ে অল্প অল্প করে নাক দিয়ে টানা অভ্যাস করুন, একেবারে টানবেন না - সমস্যা হতে পারে।

Advertisment