Advertisment

জেনে নিন সহজ পদ্ধতিতে জল সংরক্ষণের উপায়

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জলসঙ্কট নিয়ে সরব হয়ে ‘জল বাঁচান জীবন বাঁচান’ কর্মসূচি নেন। এর আগে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দেশবাসীর কাছে জল সংরক্ষণের আবেদন জানান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জীবন বাঁচাতে উদ্যোগী হোন। দেখে নিন কী কী উপায়ে জল সাশ্রয় করতে পারবেন

জল যে জীবন, এ কথা তো ছোট একটা বাচ্চাও জানে। এবার সেই 'জীবন'কে বাঁচাতেই উদ্যোগী করে তুলতে হবে নিজেদের। সারা দেশে এখন 'জল সমস্যা' প্রকট। সেই মর্মেই দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করার পর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে জলসংরক্ষণ এবং সঞ্চয়ের জন্য আবেদন রাখেন দেশের জনগণের কাছে। 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "জল সংরক্ষণ করলে তবেই দেশ বাঁচবে। সকলে মিলে একযোগে কাজ করলে তবেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও নির্দিষ্ট সূত্র নেই। বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে তবে প্রত্যেকের লক্ষ্যমাত্রা একটাই থাকবে, সেটি হলো প্রতিটি জলের বিন্দুকে সংরক্ষণ করা। যদি আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি তবেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারব। জন জন জুড়েগা, জল বচেগা।"

Advertisment

আরও পড়ুন, ঘুমোলেই ইনসেন্টিভ দেয় অফিস, আপনি জানতেন?

এমনকি মোদী দেশের সেলেব্রিটি, ক্রীড়াব্যাক্তিত্ব, মিডিয়া, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলিকেও এই উদ্যোগে এগিয়ে আসার জন্য আবেদন জানান। প্রসঙ্গত, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জলসঙ্কট নিয়ে সরব হয়ে ‘জল বাঁচান জীবন বাঁচান’ কর্মসূচি নেন। ‘সেভ ওয়াটার, সেভ লাইফ’ এই স্লোগান তুলে ১২ জুলাই দুপুর তিনটের সময় জোড়াসাঁকো থেকে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা করার কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেন মমতা।

কোন কোন পদ্ধতির দ্বারা আমরা সহজেই জল সংরক্ষণ করতে পারি?

* নিজের বাগানের পরিচর্যা করুন সকালে। গাছে সকালে জল দিলে জল ব্যবহারের পরিমানও কম হয় কারণ সকালের দিকে তাপমাত্রা কমের দিকে থাকায় গাছেদেরও অতিরিক্ত জলের প্রয়োজন হয় না। সন্ধ্যেবেলায় গাছে জল দিলে গাছের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তা অনুকূল হয় না। গাছে জল দেওয়ার ক্ষেত্রে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে সেটিকেই ব্যবহার করার কথা ভাবতে পারেন।

* ব্যবহৃত জল ফেলে না দিয়ে তা বাগানের পরিচর্যার কাজে লাগানও যেতে পারে। এমনকি ওয়াটার পিউরিফায়ারে রিভার্স অসমোসিসে যে জল নষ্ট হয় সেটিকে ফেলে না দিয়ে ঘরদোর পরিষ্কার, বাথরুম পরিষ্কারের কাজে, এমনকি গাড়ি ধোয়ার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

* স্নানের ক্ষেত্রে জল বাঁচানোর জন্য শাওয়ার ব্যবহার না করে বালতি কিংবা মগ ব্যবহার করলে জল সাশ্রয় বেশি হবে। আপনি কি জানেন, স্নানের জন্য বাথটব ব্যবহার করলে প্রায় ৭০ গ্যালন জল লাগে সেখানে? তাই বাথটব ব্যবহার করলে জল খরচ বাড়বে বৈ কমবে না। অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ফ্লাশ ব্যবহার না করাই ভাল। টিস্যু, সিগারেট কিংবা অন্যান্য বর্জ্যপদার্থ টয়লেটে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেললে অতিরিক্ত জল খরচও হবে না।

* বাসনপত্র ধোয়ার জন্য বেসিনের কল খুলে না রেখে জল দিয়ে সিঙ্ক ভর্তি করে বাসন মাজা উচিত। ডিশ ওয়াশার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বহুক্ষণ ধরে তা চালিয়ে না রেখে 'ওয়াটার কনজার্ভিং আইস মেকার' ব্যবহার করলে জল সাশ্রয় করতেও তা সাহায্য করবে।

* গাড়ি ধোয়ার ক্ষেত্রে হোস পাইপ ব্যবহার না করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জল ব্যবহার করলে অনেকটাই জল সংরক্ষণ করতে পারবেন আপনি। শুধু তাই নয়, ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করার সময় মেশিন পুরো ভর্তি না করে যতটা প্রয়োজন ততটাই জল ব্যবহার করার কথাও ভাবতে পারেন।

* দেখে নিন আপনার বাড়ির জলের লাইনে কোথাও 'লিক' আছে কি না। হয়তো আপনার দৃষ্টির আড়ালেই অকারণে নষ্ট হচ্ছে জল। সেদিকেও লক্ষ্য রাখুন।

Read the full story in English

Advertisment