/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/eczema.jpg)
প্রতীকী ছবি
কথায় বলে একজিমা নাকি বংশোদ্ভুত একটি রোগ। এবং এটি এক বিরল চামড়ার সমস্যা। সহজেই ঠিক করা একে সম্ভব নয়। এটি নাকি ছোঁয়াচে, আরও কত ধরনের গুজব এটিকে নিয়ে রয়েছে তার অন্ত নেই! তবে সহজ ভাষায় এটিকে অতি সাধারণ একটি চামড়ার রোগ হিসেবেই তুলনা করা যায়। এর সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যা জড়িত। সেই প্রসঙ্গেই জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ মার্ক হেইমন।
তিনি বলেন, একজিমা এক ধরনের রোগ যেটি শরীরে অতিরিক্ত প্রদাহ সৃষ্টির কারণে হতে পারে। তাই এটি শুধু চামড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বরং দৈহিক গোলমাল থেকেও হতে পারে এই সমস্যা। অনেকের শরীর এমনও দেখা যায়, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বেশি গরম সেই থেকেও হতে পারে এই সমস্যা! তাই চামড়ার গাফিলতি না জেনে আসলেই কী সমস্যা হচ্ছে সেটিকে জানার চেষ্টা করুন।
প্রসঙ্গেই তিনি আরও বলেন একজিমা রোগটি সাধারনত শরীরের ইমিউন হ্রাস বৃদ্ধির কারণেই হতে পারে। এবং বজ্জ্য পদার্থ সঠিক মাত্রায় শরীর থেকে না বেরলেই এই সমস্যা দেখা দেয়। এটিকে নিয়ে বেশি ভাবাভাবির কিছু নেই, বরং দেখা যায় শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখলেই এর থেকে রেহাই সম্ভব। কীভাবে এর থেকে ভাল থাকবেন?
এলিমেশন ডায়েট এই ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। অর্থাৎ যেটি আপনার শরীরে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে, অথবা পেট গরমের সমস্যা দেখা যায়, সেইসব খাবার খাওয়া একেবারে উচিত নয়। তারমধ্যে দুধ জাতীয় খাবার, গ্লুটেন এবং অত্যধিক কার্ব জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়! বেশি মাত্রায় চিনি থেকেও শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রদাহ কম করতে পারে এবং শরীরের নিউট্রিশন বজায় রাখতে পারে, এমন খাবার খেতে হতে পারে। ফিশ অয়েল এবং বিশেষ ধরনের খাবারের মধ্যে হলুদ এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া খুব দরকার।
প্রবায়টিক জাতীয় সাপ্লিমেন্ট খাওয়া খুব দরকার। এতে হজম যেমন ভাল হয় তেমনই শরীরের বজ্জ পদার্থ বেরিয়ে যেতে পারে। যেটি খুব দরকারী সেটি হল শরীরের গরমভাব বেরিয়ে যাওয়া। এটি ফিকশনাল ওষুধ হিসেবে কাজ করে। খাবার থেকে সেনসিটিভিটি বের করে দিতে সাহায্য করে।
প্রয়োজনে, সঠিকমত ঘুম দরকার। ঘুম কিন্তু শরীরের পক্ষে খুব জরুরি। অন্তত ৮ ঘণ্টার ঘুম খুব দরকার।
প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত। শরীর চালনা করা এবং যোগাসন, হাঁটাচলা করা শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়। তাই ব্যায়ামে গাফিলতি একেবারেই চলবে না।
সবকিছুর মাঝে শান্ত রাখা খুব দরকার। মেডিটেশন কিংবা যেটি করতে আপনি ভালবাসেন সেই কাজ করুন। মন ভাল রাখুন। সুতরাং এটুকু আপনাকে করতেই হবে।
রোগ নিয়ে চিন্তা নয়, বরং একে সঠিক করতে গেলে নিয়ম মেনে চলুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন