ডিম এমন একটি খাদ্যদ্রব্য, যেটি সকলের ভীষণ প্রিয়। ছোট থেকে বড় ডিম খেতে সকলেই খুব বেশি পছন্দ করেন। আবার ডিমের থেকেও বেশি পছন্দের ডিমের কুসুম - ছোটদের ক্ষেত্রে সেই ভাললাগা একটু বেশিই কাজ করে। কিন্তু ডিম থেকে নানা ধরনের সমস্যাও কিন্তু দেখা দিতে পারে।
Advertisment
এই যেমন যারা অতিরিক্ত উচ্চ রক্তচাপ যুক্ত, তাদের ডিম খাওয়া সেইভাবে উচিত নয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় যাদের মধ্যে কোলেস্টেরল বেশি, তাদেরকেও ডিম খেতে অনেকেই বারণ করেন। ডিম কিন্তু শরীরে প্রোটিনের এক ভাল উৎস কিন্তু তার পরেও যাদের শরীরে ব্যাথা বেশি হয় তাদেরও ডিম খাওয়া কমিয়ে ফেলা উচিত।
তবে ডিম সংক্রান্ত বেশ কিছু ভুল ধারণা রয়েছে, যেগুলি অবশ্যই ভাঙ্গা প্রয়োজন। বিশেষ করে ডিমের কুসুম অনেকেই খেতে পছন্দ করলেও শরীরের খাতিরে সেটি সম্ভব নয়। ডিম কিন্তু আসলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এটির থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা খুব কম! তারপরেও,
ব্লাড কোলেস্টেরল এর কারণে বেড়ে যায়? কোলেস্টেরল শরীরের খারাপ ফ্যাটের কারণে হয়। এবং ডিম কিন্তু ভাল চর্বির উৎস। যদি স্বল্প পরিমাণে ডিম কিংবা কুসুম খাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু সেইভাবে ক্ষতি হয় না। ডায়েট অনুযায়ী এটি বেশ ভাল। শরীরের পক্ষে ভাল কাজ করে, তাই ডিম কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিকর নয়।
ডিম ভাল করে সেদ্ধ না করলেও চলে! একেবারেই না। ডিম কিন্তু সঠিকভাবে সেদ্ধ না করলে এর ভেতরে থাকা জীবাণু মরে না। যেটি অনেক সময় বার্ড ফ্লুর মত রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। এবং ডিম সবসময় ভাল পোল্ট্রি থেকেই নেওয়া উচিত অথবা অর্গানিক ডিম ভাল। দেশি ডিম সবসময় শরীরের পক্ষে ঠিক নয়।
ডিম ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে? এই ধারণায় সম্পূর্ন ভুল রয়েছে। কারণ ডিমের কুসুমে সবথেকে বেশি প্রোটিন এবং অল্প কোলেস্টেরল থাকে। তাই, এটি কোনোভাবেই ওজন বাড়ায় না। বরং ওজন কমাতে পারে, কারণ ডিমের কুসুম অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে পারে।
গরমে ডিম খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়? ডিম কিন্তু ভীষণ ভাল মিনারেলস এবং ভিটামিন এ এবং ডি এর উৎস! এছাড়াও ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম এগুলির মাত্রাও থাকে। গরমে এই উপাদান গুলি শরীরে খুব দরকার।
তাই আজ থেকে ডিম খেলেও পরিমাণ মত খান। বেশিও না কমও নয়! সঙ্গে জলের মাত্রা অবশ্যই বজায় রাখুন।